অলংকার এলাকার হকার্স লীগ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
‌‘অখ্যাত অনলাইনমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে’ সরকারি তালিকাভুক্ত রেজিস্টার্ড হকার সংগঠনের নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন পাহাড়তলী থানা শাখা হকার্স লীগ নেতৃবৃন্দ। গত মঙ্গলবার দিনের বিভিন্ন সময়ে একটি ব্যক্তিপরিচয়হীন ফেসবুক আইডি থেকে ‘যারা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে এইসকল ইনচার্জদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। সরকার দলীয় সংগঠনের ট্যাগ লাগিয়ে হকার্সলীগের নাম ব্যবহার করে যারা চাঁদাবাজি করে তথাকথিত সভাপতি হানিফ, সাধারণ-সম্পাদক ইব্রাহীম ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান’দের মদদদাতা, সেল্টারদাতাদের জনমুখে এনে এদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। মাননীয় মেয়র মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি’- শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দেয়া হয়। সেই স্ট্যাটাসটি কতিপয় একটি সিন্ডিকেটের সদস্যরা শেয়ার করার মাধ্যমে সংগঠনের সভাপতি মো. হানিফ, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহানের মানহানি ও তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে ‘অনলাইনে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদ’ শিরোনামে প্রতিবাদপত্র পাঠায় চট্টগ্রাম হকার্স লীগ পাহাড়তলী থানা শাখা।
সভাপতি মো. হানিফ ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহীম স্বাক্ষরিত প্রতিবাদপত্রটি গণমাধ্যমে পাঠান।
সংগঠনের সভাপতি মো. হানিফ ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহীম দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, আমরা পুলিশ কেন, কাউকেই চাঁদা দেই না। পুলিশও কখনো আমাদের এই বিষয়ে চাপ দেয়নি। হকাররা সংগঠন করে তাদের বিপদাপদের জন্য। আপনারা জানেন, বিভিন্ন সময়ে প্রশাসন হকারদের উচ্ছেদ করে। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে পড়েন। সেই সময়ে যাতে সহায়তা পান সে জন্য সংগঠন তৈরি হয়েছে। নিজেরা প্রতিদিন ১০ টাকা করে সদস্য ফি দিয়ে আমরা সংগঠনের আপদকালীন ফান্ড গঠন করি। কিন্তু কতিপয় নামধারী একটি সিন্ডিকেট অজানা কারণে আমাদের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। আমরা যেহেতু ফুটপাতে ব্যবসা করে খুবই কম টাকা উপার্জন করি, সেখান থেকে হকারপ্রতি ২০ থেকে ২৬০ টাকা পর্যন্ত প্রতিদিন চাঁদা দেয়াটা হাস্যকর। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা নিজেরাই সংসার চালাতে হিমশিম খাই। কাউকে চাঁদা দেয়া আমাদের পক্ষে কি সম্ভব? কিন্তু কতিপয় স্বার্থান্বেষী একটি পক্ষ অখ্যাত একটা অনলাইনে মিথ্যা সংবাদ করিয়ে এবং সেটি ফেসবুকে দিয়ে আমাদের তিনজনের নামে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। যারা এসব করছে ও করাচ্ছে- তাদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, তারা যদি এ বিষয়ে আর কোনো মিথ্যাচার ও অপপ্রচার নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে করে তাহলে আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো। আইন সবার জন্য সমান। আমরা গরিব হতে পারি, কিন্তু দেশের নাগরিক।
প্রতিবাদপত্রে নেতৃবৃন্দ কথিত অখ্যাত অনলাইনপোর্টাল ‘দি মেসেঞ্জার ডটনেট’ নামীয় পোর্টালে যে সংবাদ ও বিস্তারিত তথ্য সন্নিবেশন করেছে তাও মিথ্যা ও অপপ্রচার দাবি করে তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, কতিপয় ব্যক্তি চট্টগ্রাম হকার্স লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা ও বানোয়াট এসব সংবাদ পরিবেশন করছে এবং অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদপত্রে হকার্স লীগ পাহাড়তলী থানা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষর করা ছাড়াও মো. শাহাজাহান, মো. হোসেন, মো. সফিকুল ইসলাম, মো. নুরুল আলম, মো. দিদার, মো. বাচ্চু, মো. রাজু, মো. আলমগীর, মো. হেদায়েত উল্লাহ সাগর, মো. ফারুক, মো. রাজু আহমেদ, মো. আব্দুল খালেক, মো. ইমন, মো. ইদ্রিস, মো. এমরান হোসেন সাগরের নাম উল্লেখ করা হয়।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর