জেলা প্রতিনিধি, ফেনী, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
অব্যাহত ব্যবসায়িক লোকসানের মুখে ফেনী থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে পরিবহন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এনা ট্রান্সপোর্ট। এরইমধ্যে নিজেদের বাস ও টার্মিনাল স্থানীয় পরিবহন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলাইনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনের কার্যালয়ে স্টারলাইন পরিবহনের পরিচালক ছায়দুল হক মিন্টুর হাতে চুক্তিপত্র তুলে দেন এনা ট্রান্সপোর্টের চেয়ারম্যান খোন্দকার এনায়েত উল্লাহ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের শুরুতে ঢাকা-ফেনী-ছাগলনাইয়া রুটে মহাধুমধামে চালু হয় এনা পরিবহন। ফেনী শহরের মহিপাল, শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে দুটি, সদর হাসপাতাল মোড়ে কাউন্টার খোলা হয়। একইভাবে মহাসড়কের ফেনী ও কুমিল্লা অংশের বেশ কয়েকটি স্থানে কাউন্টার খোলা হয়। তবুও প্রতি মাসে গড়ে ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা ক্ষতির মুখে পড়ে এনা। তাই স্থানীয় পরিবহন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলাইন গ্রুপের কাছে টার্মিনালসহ সবগুলো বাস বিক্রি করে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে এ পরিবহন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি।
পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনায়েত উল্যাহ খোন্দকার সাংবাদিকদের জানান, ক্রমাগত লোকসানের মুখে তারা এ রুট থেকে এনা পরিবহন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এবং উক্ত পরিবহনে ২৮টি বাস সোমবার স্টার লাইন পরিবহনকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। শুরুতে দুটি পরিবহনের মধ্যে বেশ প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা গেলেও করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে পড়ে এনা পরিবহন। অবশেষে স্টার লাইনের কাছে বাস বিক্রি করে এ রুট ছেড়ে দেয় তারা।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সাল থেকে ফেনী-ঢাকা রুটে স্টার লাইন পরিবহন যাত্রা শুরু করে। এরপর এস আলম, সী লাইনসহ বিভিন্ন পরিবহন চালু হলেও ক্ষতির মুখে নিজেদের গুটিয়ে নেয়।
স্টার লাইনের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এনা পরিবহনে কর্মরত চালক-হেলপার সহ কর্মচারীদের স্টার লাইন পরিবহনে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়া হবে।
স্টার লাইন গ্রুপের পরিচালক মাইন উদ্দিন বলেন, লোকসানের কারণে এনা আমাদের কাছে বাসগুলো বিক্রি করতে চায়। তাই আমরা বাসগুলো কিনতে সম্মত হই। এরইমধ্যে বাসগুলো আমাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। শুধু বাস নয়, তাদের নিজস্ব টার্মিনালগুলো স্টারলাইনের কাছে বিক্রি করেছে এনা ট্রান্সপোর্ট।
ডিসি/এসআইকে/ওএফ