দেশের প্রথম ফোর লেনের আরসিসি সড়ক কুয়াকাটায়

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
দেশের প্রথম ফোর লেনের আরসিসি সড়ক নির্মাণ হয়েছে।  জলোচ্ছ্বাস কিংবা বৃষ্টির পানিতে স্থায়ী ও স্থিতিশীল হবে এ সড়কটি।  এরইমধ্যে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের রাজপাড়া থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত ৫ দশমিক ৬০ কিলোমিটার আরসিসি সড়কের নির্মাণ কাজ শেষে হয়েছে।
সড়কটির প্রশস্ত ২৩ দশমিক ২৯ মিটার। এতে ব্যয় হয়েছে ২৫৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা।  নির্ধারিত সময়ে আরসিসি সড়কটির কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমবিইএল।
আমদানি ও রফতানির বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে দেশের তৃতীয় গভীর সমুদ্র বন্দর হিসেবে ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পায়রা বন্দর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  অবকাঠামো নির্মাণের পর ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট পায়রা বন্দরে পণ্য খালাস শুরু হয়।  সেই সময়ে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য চীন থেকে ৫৩ হাজার টন পাথর নিয়ে ‘মাদার ভ্যাসেল এমভি ফরচুন বার্ড’ পায়রা বন্দরে আসে।
পায়রা বন্দরে রেলপথ নির্মাণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে।  সমুদ্র বন্দর এলাকায় বিমান বন্দর, পর্যটন কেন্দ্র, অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে।  আর এ পরিকল্পনাগুলো সফল হলে পায়রা বন্দরটি পাবে পূর্ণরূপ।  পাশাপাশি বন্দরে খননের কাজ চলছে।
পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ এবং এ সংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে পুরো কার্যক্রম চালু হয়ে যাবে।  এছাড়া রামনাবাদ চ্যানেলের পাড়ে ললুয়া ইউপিতে চড়িপাড়ায় প্রথম টার্মিনাল এলাকায় যাতায়াতের জন্য ছয় লেনের সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।  এ সড়কে আন্ধারমানিক নদীর পিটবাড়িয়া ও চিংগুড়িয়া পয়েন্টে আরো একটি সেতু নির্মাণ করা হবে।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর হুমায়ুন কল্লোল জানান, বাংলাদেশের ১০টি প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পের মধ্যে পায়রা বন্দর একটি।  ২০২০ সালের মধ্যে পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করে ২০২১ সাল থেকে আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর হিসেবে পুরোপুরি চালু করা হবে।
তিনি আরো জানান, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়।  এ জন্য প্রথম পর্যায়ে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ১২৮ কোটি ৪৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা।  ওই প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪২৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় হয়েছে।  ভূমি অধিগ্রহণের সংশোধিত মূল্য বাবদ ১ হাজার ২২২ কোটি ৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা প্রয়োজন হবে।
পায়রা বন্দরের মূল চ্যানেলে ক্যাপিটাল এবং মেনটেইন্যান্স খননের কাজটি করবে বিশ্ববিখ্যাত কোম্পানি বেলজিয়ামের জান-ডি-নাল।  চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করবে।  পায়রা বন্দর নির্মাণ কাজ শেষ হলে দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিতি লাভ করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ