৫৬ ভোট পেয়ে জামানত হারালেন নৌকার প্রার্থী!

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
ফরিদপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে একটি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লজ্জাজনক হার হেরেছেন।  চেয়ারম্যান পদে ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে তিনি পেয়েছেন মাত্র ৫৬ ভোট!  আর এমন লজ্জাজনক হারে রেকর্ড গড়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্যাহর নির্বাচনী এলাকা সদরপুর উপজেলার চরমানাইর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. বজলু মাতুব্বর।
জানা গেছে, এ নির্বাচনে মো. বজলু মাতুব্বর মাত্র ৫৬টি ভোট পেয়ে তিনি খুঁইয়েছেন জামানত।  যা স্বাধীনতা পরবর্তীকালে যে কোনো সময়ে ফরিদপুরের নয়টি উপজেলার যেকোনো নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থীর লজ্জাজনক হার।  শুধু তাই নয় এ ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীও দুই শতাধিক বেশি ভোট পেয়েছেন।  কিন্তু নৌকার প্রার্থী শতক ভোটও পুরোতে পারেনি।  ফলে এ নিয়ে জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে।
প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটির থাকার পরও কী কারণে?  নৌকার প্রার্থী এত কম ভোট পেলেন, তা খতিয়ে দেখবে জেলা উপজেলার নেতারা।  এ ইউনিয়নে চশমা প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ৩০০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. রফিকুল ইসলাম।
এ বিষয়ে নৌকার পরাজিত প্রার্থী বজলু মাতুব্বর বলেন, আমি নৌকা প্রতীক পেলেও তার পক্ষে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেওয়া তো দূরে থাক, কোনো ধরনের সহযোগিতা না করাসহ খোঁজ-খবরও রাখেননি।  আওয়ামী লীগের নেতারা কাজ করেছেন নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে।  প্রতীকীর জন্যও তারা কেউ ভাবেননি।
এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছত্তার ফকির বলেন, গ্রাম্য একটা কথা আছে-‘ঢাল নেই, তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার’ আসলে বিষয়টি এমন হয়েছে। মনোনয়নের বিষয়ে আমাদের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি।  তাছাড়া মনোনয়ন পাওয়ার আগে ও পরে আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করেননি বজলু মাতুব্বর।  সুতরাং এটা প্রতীকীর পরাজয় নয়, প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, জনগণ যদি ভোট না দেয়, তাহলে কী করার।  তাছাড়া এটা নৌকার কোনো পরাজয় নয়।  এটা প্রার্থীর ব্যক্তিগত পরাজয়।  প্রার্থীর ব্যক্তিগত ইমেজ না থাকলে, প্রার্থীর কোনো সমস্যার কারণে মানুষ ভোট না দিলে কী করার আছে।  তারপরও এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ফরিদপুরের সদরপুর ও মধুখালী উপজেলার ১৩টি ইউপির নির্বাচনে আটজন স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং নৌকার ৫ প্রার্থী বিজয়ী হন।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ