‘সংক্ষিপ্ত নয়, পূর্ণ সিলেবাস থেকেই এসেছে গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন’

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
২০২১ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হয় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে।  এজন্য গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাও একই সিলেবাসে নেওয়ার কথা ছিল।  শিক্ষামন্ত্রীও জানিয়েছিলেন একই কথা।  তবে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের বাইরে থেকেও প্রশ্ন এসেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, এইচএসসির মতো ভর্তি পরীক্ষায়ও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল।  তবে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস থেকে ‘ক’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে।  ফলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসে তারা বিপাকে পড়েছেন।
তবে বোর্ডের নির্ধারিত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস থেকেই প্রশ্ন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক।  কোনো পরীক্ষার্থীর অভিযোগ থাকলে তা লিখিত আকারে ভর্তি কমিটিকে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করা তামান্না জুনরাইন তিথি বলেন, ‘প্রশ্ন বেশ কঠিন হয়েছে।  গণিত, জীববিজ্ঞানের অনেক প্রশ্ন সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের বাইরে থেকে এসেছে।  সবমিলিয়ে ১৫-২০ নম্বরের প্রশ্ন বাইরে থেকে করা হয়েছে।  আমরা তো এক বছরের শর্ট সিলেবাসে পড়াশোনা করেছি।  অথচ প্রশ্ন এসেছে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস থেকে।  সেজন্য আশানুরূপ পরীক্ষা দিতে পারিনি’।
ঝিনাইদহ থেকে পরীক্ষা দিতে আসা জাহাঙ্গীর হাশিম বলেন, ‘গণিত ছাড়া বাকি বিষয়ের প্রশ্নগুলো মোটামুটি সহজ ছিল।  গণিত প্রশ্ন শর্ট সিলেবাসের বাইরে থেকেও এসেছে।  প্রশ্ন অনেক কঠিন হয়েছে’।
নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করা নাবিল ওয়ালিদ বলেন, ‘প্রশ্ন সহজও বলা যাবে না, কঠিনও বলা যাবে না।  কারণ রসায়ন, জীববিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞানের প্রশ্ন সিলেবাসের বাইরে থেকে কম এসেছে।  তবে গণিতে ৪-৫টা প্রশ্ন ছাড়া সব সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের বাইরে থেকে এসেছে’।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের কথা বলে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস থেকে প্রশ্ন করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরাও।  তারা বলছেন, ‘এভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করায় অনেক শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যেতে পারে’।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটর আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক  বলেন, ‘প্রশ্নপত্র নিয়ে বলার কিছু নেই।  শিক্ষা বোর্ড থেকে যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্য থেকেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে।  যারা অভিযোগ তুলছেন, তাদের লিখিত দিতে বলবো’।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ