প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে বরদাস্ত করব না : শেখ হাসিনা

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে বরদাস্ত করব না।
রবিবার (২ জুলাই) সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি খুব ভালো, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা সেই নীতিই মেনে চলি। কিন্তু আমাদের উন্নয়নে বা আমাদের অগ্রযাত্রায় কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করুক, সেটা আমরা চাই না, সেটা আমরা বরদাস্ত করব না’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সব জায়গায় আমি ঘুরেছি। মাইলের পর মাইল কাদামাটি মাড়িয়েছি। নৌকা, সাম্পান, ট্রলার, ডিঙি নৌকা, ভ্যান কোনটায় চড়ি নাই? সবকিছুতে আমার চড়া আছে। এভাবে বাংলাদেশ ঘুরেছি, বাংলাদেশ দেখেছি। আর সেইটা বুঝে উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এখন বাংলাদেশকে আমরা একটা জায়গায় নিয়ে এসেছি’।
তিনি বলেন, ‘আমি এমনভাবে দেশ ভ্রমণ করেছি এবং সারা দেশে ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে এসেছি’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠন করে এই পর্যন্ত আসা। এই সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। একটি বাড়ি একটি খামার, ডিজিটাল বাংলাদেশ, কমিউনিটি ক্লিনিক, আমার গ্রাম আমার শহর, নানা সামাজিক নিরাপত্তামূলক কাজের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি’।
সরকার প্রধান আরও বলেন, ‘প্রতিটি গ্রাম এখন আর গ্রাম নেই। আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। রাস্তাঘাটের উন্নতি করেছি। এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বলে সবাই’।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শনিবার সকাল ৮ টায় গণভবন থেকে সড়ক পথে দুই দিনের সফরে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে পদ্মা সেতু হয়ে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটালীপাড়ায় পৌঁছান। এ সময় স্থানীয় নেতা–কর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। স্লোগানে স্লোগানে বরণ করে নেয় প্রধানমন্ত্রীকে। পরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধন শেষে কার্যালয় চত্বরে তিনটি গাছের চারা রোপণ করেন শেখ হাসিনা। পরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও দুপুরের খাবার খান প্রধানমন্ত্রী।
এরপর কোটালীপাড়া থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে প্রথমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর টুঙ্গিপাড়ার নিজ বাড়িতে বিশ্রামে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি রাত্রি যাপন করেন।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ