থানচি বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ২৫০ দোকান-বসতঘর ছাই, ১০ কোটি টাকার ক্ষতি

বান্দরবান প্রতিনিধি >>>
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের থানচি উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকা-ে প্রধান বাজার এবং আশেপাশের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।  সোমবার (২৭ এপ্রিল) ভোররাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  এতে প্রায় ২৫০টি দোকানসহ কয়েকটি বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ স্থানীয় লোকজন দীর্ঘ সময় প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।  ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা জানান, ভোর রাতে হঠাৎ করে বাজারের মধ্যে আগুন জ্বলে উঠে।  এসময় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়লে পুরো বাজার মূহুর্তেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।  এতে থানচি বাজারের মুদি দোকান, কম্পিউটারের দোকানসহ প্রায় ২৫০টি দোকান ও আশেপাশের কয়েকটি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
থানচি বাজারের ব্যবসায়ী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো বলেন, বাজারে প্রায় আড়াই শতাধিক দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি পুড়ে গেছে।  কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।  বাজারে ছোট-বড় দোকানগুলোতে কোটি কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
থানচি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাংসার ম্রো বলেন, পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর (উশৈসিং) ২০১৫ সালে থানচি উপজেলা বাজার রক্ষার্থে একটি ফায়ার স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেন।  কিন্তু ভবন নির্মাণ কাজ এখনো শেষ না হওয়ায় এই অগ্নিকাণ্ডে খুব বেশি ক্ষতি হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন প্রশাসনের উর্ধ্বতন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।  তাদের মধ্যে ছিলেন জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলাম, বিজিবি বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গাজী নাহিদুত জামান, বিজিবি ৩৮ ব্যাটালিয়নের জোনাল কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মোহাম্মদ সানবীর হাসান মজুমদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত, সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের প্রকল্প কর্মকর্তা মোহাম্মদুল কিবরিয়া প্রমুখ।
এসময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ব্যবসায়ীদের বান্দরবান জেলা পরিষদ থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিট থেকে চাউল, তেল, লবণ, বিস্কুট ও বান্দরবান জেলা প্রশাসন থেকে চাউল, তেল, লবণ ও একটি করে কম্বল বিতরণ করা হয়।

ডিসি/এসআইজে/এমএম