রুমার পৃথক স্থানের ১১ একরের পপিক্ষেত ধ্বংস

বান্দরবান প্রতিনিধি >>>
বান্দরবানের রুমা উপজেলার বগালেক ক্যাম্প হতে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ৮ থেকে ৯ কিলোমিটার গহিন পাহাড়ের ঝিরির পাশে, সাইকট পাড়া ও খুলিয়ান খুমি পাড়া এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এলাকাগুলোর ১০-১১ টি স্থানে এই অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। অজ্ঞাত পাহাড়ি ব্যক্তিদের দ্বারা চাষকৃত প্রায় ১০ থেকে ১১ একর জমিতে পপিক্ষেত (আফিম বা হেরোইন) গড়ে তোলা হয় যা ধ্বংস করা হয়। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রুমা জোন (২৭ ইবি) সদর থেকে ক্যাপ্টেন মো. আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে স্পেশাল টহল দল এই অভিযান চালায়।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসব এলাকায় সেনাবাহিনী অভিযান চালালেও তাদের আসার খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ফলে এই ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর রুমা জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ গোলাম আকবর (পিএসসি) বলেন, আফিম চাষ হচ্ছে একটি বিষাক্ত নেশা জাতীয় গাছ, যা থেকে হিরোইন ও আফিম তৈরি করা হয়। যা খেয়ে সমাজের হাজার হাজার মানুষ মাদকাসক্ত হচ্ছে এবং মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। এ ধরনের বিষাক্ত আফিন চাষ রুমার দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় চাষ করা হচ্ছিল। মানবজীবন ধ্বংসকারী এসব মাদককের চাষ যেখানেই করা হোক না কেন তা ধ্বংস করা হবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পাহাড়ের দূর্গম এলাকার এমন সব জায়গায় এসব পপি ক্ষেত গড়ে তোলা হয়েছে যেখানে কারো নজর পড়ে না। বিশেষ করে পাহাড়ি ঝিরির কাছে স্থানীয় পাহাড়িরা লাভজনক পপিচাষ দীর্ঘদিন থেকে করে আসছে। প্রতিবছরই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে এসব আফিম বাগানগুলো ধ্বংস করছে। ইতোমধ্যে র‌্যাব- ৭ এর সদস্যরা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পর পর অভিযান চালিয়ে রুমা উপজেলার দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় বিপুল পরিমাণ আফিম বাগান ধ্বংস করে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় স্থানীয় পাহাড়ি সম্প্রদায় ও বিদেশি বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে আফিমের চাষ করে আসছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের কারনে এসব আফিম চাষ অনেকাংশেই কমে এসেছে।

ডিসি/এসআইকে/এমএসআই