সব কথা বলা যায় না : আব্দুস সাত্তার

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া বলেছেন, অনেকে প্রশ্ন করেন- আপনি পদত্যাগ করে আবার নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন, আসলে কি ব্যাপার? এটা সবাই বুঝেন। সব কথা বলা যায় না। পরিস্থিতির কারণে আমাকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। আবার নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখানে ভুল বুঝাবুঝির কোনো অবকাশ নাই। এ সিদ্ধান্ত দেশের স্বার্থে ও জনগণের স্বার্থে নিয়েছি।
এ স্বতন্ত্রপ্রার্থী বলেন, কী কারণে আজকের সভার আয়োজন করা হয়েছে আপনারা জানেন। আমার বলার কোনো উপায় নাই, সব বলা হয়ে গেছে। আপনারা আমার জন্য দোয়া কইরেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে জেলার সরাইল উপজেলার হাজী মকসুদ আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, পাকশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ, আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার, সৌদি আরব বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক রিফাত বিন জিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা কুতুবুল আলম ও আইয়ুব খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৯ সালে আমি স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছিলাম। পরে বিএনপিতে যোগদান করলাম। বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে আবার স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়েছি।
২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে আবারও অংশ নিতে যাচ্ছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। তিনি এ আসনে পাঁচ বার এমপি ছিলেন।
এ নির্বাচনে আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ।

ডিসি/এসআইকে/এমএসএ