মানবিকতা……….

এম. জুবাইদ, পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি >>>
মানবিক সংকটের এই কালেও কেউ কেউ মানবতার ছাতা ধরেন অসহায় মানুষদের মাথায়।  এমনই একজন কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা সদরের সিকদার পাড়া মৌলভী বাড়ির মরহুম মাস্টার এহছানুল হকের ছেলে শিক্ষাবিদ কফিলুজ্জমানের সহধর্মিণী চট্টগ্রামের হাটহাজারী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষিকা পারভিন আক্তার।  তিনি দেখিয়ে দিলেন একজন মানসিক প্রতিবন্ধীর প্রতি কিভাবে মানবতা দেখাতে হয়।  রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়ে বেড়ানো অজানা-অচেনা একজন মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে রাস্তা থেকে বাড়িতে নিয়ে যে মানবতা দেখিয়েছেন তা অনুকরণীয় ও নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
ওই শিক্ষিকার ফেসবুক টাইমলাইনে দেখা যায়- আনুমানিক ২০-২২ বছর বয়সী এক মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ঘরে তুলে নিয়ে তার পায়ের নক কেটে দিচ্ছেন।  তাকে গোসল করিয়ে কাপড় পড়িয়ে দিচ্ছেন।  নিজ হাতে তাকে খাবার দিচ্ছেন।  আবার কোনো সময় মাথার চুল কেটে দিচ্ছেন।
পারভিন আক্তার দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, বাসা থেকে স্কুলে যাতায়াতের সময় আমি ওই পাগলিকে ভয় পেতাম।  হঠাৎ একদিন তাকে দেখে খুব অসহায় মনে হলো।  তাই সাহস করে বাসায় নিয়ে গেলাম।  পরে দেখি সে একদম শান্ত মেজাজি।  আমি তাকে আমার বাসায় নিয়ে আসার পর নখ কাটা থেকে শুরু করে গোসল করিয়ে দিয়ে সব কিছুই পরিস্কার করে দিয়ে খাবার দিলাম।  মেয়েটি আমাকে আপু-আম্মু বলে সম্বোধন করতে লাগল।
সে পরের দিন আবার আমাকে দেখে কান্না করতে করতে বললো মা-মনি চুল কাটব।  আমি তাকে চুল কেটে দিলাম।  তারপর গোসল করিয়ে দিয়ে নতুন কাপড় পড়িয়ে ভাত খেতে দিলাম।
তিনি আরো বলেন, এই কাজে আমাকে আমার স্বামী কফিল অনেক উৎসাহ ও সাহায্য করেন।  সেই ছবিগুলো ফেসবুকে প্রকাশ পাওয়ার পর আমার সহকর্মী, প্রতিবেশী, ফেসবুক বন্ধুসহ সবাই আমাকে যেভাবে উৎসাহিত করেছেন তাতে এই মানবতার কাজে আমার আগ্রহ আরো বেড়েছে।

ডিসি/এসআইকে/এমজে