এম. জুবাইদ, পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি >>>
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের জব্দ করা বালু লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার বিকেলে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুতুবদিয়া চ্যানেলের মগনামা উপকূল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে গত শনিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় অভিযানে যায় পেকুয়া উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ। এসময় উত্তোলিত ৮০ হাজার ঘনফুট বালু ও বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ৫০টি পাইপ ও একটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়। এ সময় আটক করা হয় ইয়াছিন নামের এক ব্যক্তিকেও। জব্দকৃত বালু ও সরঞ্জাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিম্মায় দেয় পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোতাছেম বিল্যাহ্। পরে আটক ব্যক্তিকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন ইউএনও।
স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান মোহাম্মদ রিপন বলেন, প্রশাসনের জব্দ করা বালু দিনদুপুরে লুট করা হচ্ছে। সোমবার ভোররাত থেকে মেসার্স জামিল ইকবাল কনস্ট্রাকশনের ৪-৫টি ট্রাক এসব বালু লুট করে পেকুয়া সদর ইউনিয়নে তাদের চলমান সড়ক নির্মাণ কাজে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এটি বন্ধে প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। জব্দ করা ৮০ হাজার ঘনফুটের এক তৃতীয়াংশ বালু ইতোমধ্যে লুট করে নিয়েছে তারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, সোমবার ভোররাত থেকে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লোকজন আমাদের জিম্মায় থাকা বালু লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমাদের কার্য সহকারী গিয়াস উদ্দিনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। কিন্তু লুটকারীরা তার কথা অগ্রাহ্য করে বালু লুট অব্যাহত রাখে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে বালু লুটে জড়িতদের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় এজাহার দায়ের করেছি।
এব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোতাছেম বিল্যাহ্ বলেন, জব্দ করা বালু লুটের ঘটনা জানানো হলে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নিয়মিত মামলা দায়েরের পরামর্শ দিয়েছি।
এদিকে পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় তিনি কোনো এজাহার বা অভিযোগ পাননি।
ডিসি/এসআইকে/এমজে