কক্সবাজার প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসা বিশাল আকারের তিমি হিমছড়িতে ভেসে আসে। তার আগেরদিন শুক্রবার উদ্ধারকৃত তিমির মতো এটিও সাগরের লোনাপানিতে ভাসতে ভাসতে তীরে আসে। তিমিটির সামনে ও পেছনের অংশ অনেকটা পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। তাই শুক্রবার ভেসে আসা তিমিটির মতো এই তিমিকেও শনিবার মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। তবে পুঁতে ফেলা স্থানটি চিহ্নিত করে রাখা হয়। কারণ দুই মাস পর এখান থেকে তিমির কঙ্কাল সংগ্রহ করা হবে। গবেষণার জন্য হাড় ও অন্য প্রত্যঙ্গ সংগ্রহের আশায় মাটিচাপা দেয়া স্থানটি সংরক্ষণ করছে সমুদ্র ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, শুক্রবার ভেসে আসা মৃত তিমির মতো এই তিমিটিও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। তাই আগেরটির মতো এটিকেও হিমছড়ি সৈকতের বালুচরে পুঁতে ফেলা হয়েছে। তবে জায়গাটি চিহ্নিত করা আছে। দুই মাস পর ওই জায়গা থেকে তিমির কঙ্কাল সংগ্রহ করে গবেষণার জন্য সংরক্ষণ করা হবে।
কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামান বলেন, মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা মৃত তিমির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে কীভাবে পরপর দুটি তিমির মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সম্পদ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক মফিজুর রহমান বলেন, দুটি কারণে তিমি মাছ মারা যায়। প্রথমত, বয়সকাল পার হলে তিমি মারা যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, বঙ্গোপসাগরে জাহাজ চলাচলের সময় আঘাতের কারণে তিমি মারা যেতে পারে।
এডিসি মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মৎস্য সম্পদ অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে ফের উদ্ধারকৃত মৃত তিমির ময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ হয়। গভীর সমুদ্রে বড় জাহাজের ধাক্কা অথবা জেলেদের হাতে তিমিগুলোর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে পরিবেশবাদীদের ধারণা।
ডিসি/এসআইকে/এসইউ