পরিচয় মিলেছে কক্সবাজার থেকে উদ্ধার তিন মরদেহের

কক্সবাজার প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাফ নদী থেকে উদ্ধার দুই শিশুসহ মায়ের মরদেহের পরিচয় মিলেছে।  তারা উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১১ এর বাসিন্দা জানে আলমের স্ত্রী সমজিদা বেগম, মেয়ে নুর শহিদা ও রশিদা।
শনিবার (১২ জুন) দুপুরে বালুখালীর ক্যাম্প-১১ এর ইনচার্জ (সহকারী সচিব) আরাফাতুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  এর আগে, শনিবার দুপুরে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভী বাজার ২ নম্বর ওয়ার্ড নাফনদী সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  এ ঘটনায় জানে আলম ও তাদের আরও এক সন্তান নিখোঁজ রয়েছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বরাত দিয়ে সিআইসি আরাফাতুল আলম বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১১ এর বাসিন্দা জানে আলমের পরিবার শুক্রবার রাতে সবার অগোচরে নৌকা যোগে মিয়ানমার চলে যাচ্ছিলেন।  নদী পার হতে গিয়ে কোনো কারণে নৌকা ডুবিতে স্ত্রী-সন্তান মারা গেছে।  তার পরিবারের ৫ সদস্যের মাঝে তিনজনের মরদেহ শনিবার দুপুরে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভী বাজার ২ নম্বর ওয়ার্ড নাফনদী সীমান্ত এলাকায় থেকে উদ্ধার করা গেলেও অপর দুজন এখনো নিখোঁজ’।
তিনি আরও বলেন, ‘মো. জানে আলমের বাবার নাম মো. রশিদ।  তিনি ক্যাম্প-১১ এর ব্লক-সি-১৫ বাসিন্দা এবং এফসি নং-১৯৯২৬৩’।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘নাফ নদী থেকে দুই শিশুসহ এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  তবে তারা কী মিয়ানমারে যাচ্ছিল, নাকি সেদেশ থেকে আসছিল বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।  আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি।  নৌকাতে কতজন রোহিঙ্গা ছিল সেটি নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে।  মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে’।
রোহিঙ্গাদের ভাষ্যমতে, সম্প্রতি একটি দালাল চক্রের হাত ধরে নৌকা নিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার পারাপার করে আসছে রোহিঙ্গারা।  সে সুবাদে এখান থেকে জানে আলম নামে এক ব্যক্তি পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে মিয়ানমারে স্বজনদের কাছে যাচ্ছিলেন।  এ সময় ঝড়ে নৌকাটি ডুবে যায়।  এতে তিনজন প্রাণ হারায়।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘নাফ নদীর তীরে ভেসে আসা তিন রোহিঙ্গার মরদেহ পাওয়া গেছে।  মিয়ানমারে যাওয়ার পথে রোহিঙ্গাবাহী একটি নৌকা ডুবে মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি।  সেই নৌকাতে আরও রোহিঙ্গা থাকার খবর রয়েছে’।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী জানান, ‘নাফ নদীতে ভেসে আসা দুই শিশুসহ তিন রোহিঙ্গার মরদেহ পাওয়া গেছে।  কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে’।

ডিসি/এসআইকে/এফআরইউ