কক্সবাজারের রেজুখালে সাম্পানসাদৃশ্য ব্রিজ

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের রেজুখালে সাম্পানের আদলে নতুন ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরইমধ্যে অনুমোদন হয়েছে ব্রিজের নকশাও। শিগগিরই শুরু হবে ব্রিজ নির্মাণ কাজ। কাজ শেষ হলে মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণে আরো আকর্ষণ বাড়বে পর্যটকদের।
এমআইএসটি কর্তৃক রেজুখালের উপর নির্মিত হচ্ছে নতুন ব্রিজ। প্রস্তাবিত এই ব্রিজের নকশা তৈরি করা হয়েছে কক্সবাজারের ঐতিহ্য বহনকারী সাম্পানের আদলে। যার নকশা এরই মধ্যে অনুমোদিত হয়েছে।
এমআইএসটির এক কর্মকর্তা জানান, ৩৬ ফিট প্রস্থের ব্রিজটির দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১০৩০ ফিট এবং সেতুটি হবে দুই লেনের, তাই যানজট মুক্ত হবে মেরিন ড্রাইভের এ অংশটি। দর্শনার্থীদের ব্রিজ ও আশে পাশের সৌন্দর্য উপভোগে থাকবে প্রশস্থ ফুটপাত এবং পার্কিং সুবিধা। রাতের আলোয় ঝলমলে পরিবেশে রেজু খালের সৌন্দর্যতা উপভোগ করার ব্যবস্থাও রয়েছে সেখানে। সুইচ্চ সেতুটির ডিজাইন করা হয়েছে পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এবং নান্দনিক ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে। তিনি আরো জানান, সেতুটির সম্ভাব্য বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছে ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ সাল পর্যন্ত।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান আবু মোরশেদ চৌধুরী জানান, মেরিন ড্রাইভ হয়ে টেকনাফ যেতে এবং কক্সবাজারে আসতে একটি ব্রিজের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হতো পর্যটক ও স্থানীয়দের। তবে সরকারের ইচ্ছায় বিপুল অর্থ ব্যয়ে রেজুখালে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। ব্রিজের নকশাও অনুমোদন হয়েছে। শিগগিরই শুরু হবে রেজুখালের ওপর নৌকার আদলে নতুন ব্রিজ নির্মাণ কাজ। কাজ শেষ হলে মেরিনড্রাইভ সড়ক ভ্রমণে আরো আকর্ষণ বাড়বে পর্যটকদের।
জানা গেছে, কক্সবাজারে সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে বহু মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এরমধ্যে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে- আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর স্থাপন, পরিবেশ বান্ধব ট্যুরিজম স্পট, আশ্রয়ণ প্রকল্প, গভীর সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ীতে তাপ ভিত্তিক কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, দোহাজারী থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক স্থাপন, টেকনাফে ইকোট্যুরিজম, প্রথমবারের মতো সমুদ্রের ওপর নির্মিত রানওয়ে, খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প ও শেখ হাসিনা টাওয়ার ইত্যাদি মেগা প্রকল্প।

ডিসি/এসআইকে/এফআরইউ