থাইল্যান্ডের তরুণী প্রেমের টানে এবার কক্সবাজারে

কক্সবাজার প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
প্রেমের টানে সুদূর থাইল্যান্ড থেকে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে এসেছেন তানিদা নামের এক তরুণী। মনের মানুষকে পেতে গত ১২ ডিসেম্বর সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তানিদার বর্তমান নাম খাদিজাতুল কুবরা। বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন মাতারবাড়ী ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা জাবের আহমদ সওদাগরের ছেলে রাজ ওসমান খানের সঙ্গে। বর্তমানে রাজ ওসমান খানের বাড়িতেই অবস্থান করছেন তিনি।
জানা যায়, ফেসবুকে মাতারবাড়ীর তরুণ রাজ ওসমান খানের সঙ্গে তানিদার পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকেই ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই প্রেমের টানে সুদূর থাইল্যান্ড থেকে চলে আসেন মাতারবাড়ীতে। ওসমানের পরিবারের লোকজনও বিষয়টি শুনে তাদের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিয়েছে।
থাই তরুণীর সঙ্গে প্রেম ও বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসমান গণি বলেন, গত বছরের জানুয়ারিতে মহেশখালীতে তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন তানিদা। ১৪ দিন থাকার পর আবার নিজ দেশে ফিরে যান। পরে তার বাবার অসুস্থতার খবর শুনে গত বছরের এপ্রিলে আবারো বাংলাদেশে আসেন থাই তরুণী। সে যাত্রায় সাত দিন থাকেন। সর্বশেষ ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন তানিদা। এরপর ১২ ডিসেম্বর যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তানিদা। তার নাম রাখা হয় খতিজাতুল কোবরা। ওই দিনই বিয়ে হয় তাদের।
তানিদা থাইল্যান্ডে একটি চাকরি করেন বলে জানিয়েছেন ওসমান গণি। তিনি বলেন, তার স্ত্রী এক মাসের ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। এক মাস পর আবার থাইল্যান্ডে চলে যাবেন। মাঝেমধ্যে ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন।
থাই তরুণী দেশে ফিরে গিয়ে স্বামীর জন্য ভিসার আবেদন করবেন জানিয়ে ওসমান গণি বলেন, ভিসা পেলে তিনিও থাইল্যান্ডে যাবেন। সেখানে চাকরি পেলে থেকে যাবেন ওসমান। ১০ বছর পর স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসবেন।
ওসমানের বাবা জাবের আহমদ বলেন, ‘বউমা আমাদের ভাষা বোঝেন না। ইশারা ইঙ্গিতে যোগাযোগ চালিয়ে নিচ্ছি। এখন প্রতিনিয়ত সে বাংলা ভাষা শেখার চেষ্টা করছে’।
থাইল্যান্ডের মেয়ে মাতারবাড়ীতে আসায় স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এই দম্পতিকে দেখতে ভিড় করছেন ওসমানের বাড়িতে।

ডিসি/এসআইকে/এফআরইউ