ক্ষোভ থেকেই শিশু তানিশাকে নির্মমভাবে হত্যা : ফেনীর এসপি

ফেনী প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
ফেনীতে ১১ বছরের শিশু তানিশা ইসলাম হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে তারই চাচাতো ভাই নিশান।  হত্যার দায় স্বীকার করে বর্ণনায় নিশান জানায়, তানিশাকে নির্মমভাবে গলা কেটে হত্যা করেছে সে।  শনিবার দুপুর ১২ টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী।
এ সময় তিনি জানান, ব্যক্তিগত জীবনে আক্তার হোসেন নিশানের বাবা জীবিত না থাকায় তানিশার পরিবার তাদের কথায় কথায় তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতো।  এর আক্রোশের জেরে সৃষ্ট ক্ষোভ থেকেই তানিশাকে হত্যা করে নিশান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে শিশু তানিশাকে বাসায় একা রেখে মা ও বোন পাশের বাড়িতে যান।  সে সুযোগে পরিকল্পিতভাবে নিশান ঘরে ঢুকে এবং তানিশাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।
একপর্যায়ে তানিশাকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করে। পরে তানিশা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে টেনে বাড়ির দোতলায় নিয়ে সিলিং এর সঙ্গে শক্ত দড়ি দিয়ে বাঁধার চেষ্টা করে কিন্তু এতে ব্যর্থ হয় নিশান।  এ সময় পাশে পড়ে থাকা একটি আম কাটার ধারাল ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করা হয়।  এর ঘণ্টা দেড়েক পর ঘরে তানিশাকে না পেয়ে তার মা ছাদের দিকে খুঁজতে গেলে তানিশার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান।
একপর্যায় খবর পেয়ে পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে।  এসময় ঘরের ছাদ থেকে পাওয়া একজোড়া স্যান্ডেলের সূত্র ধরে তানিশার জেঠাতো ভাই অষ্টম শ্রেণির ছাত্র নিশানকে আটক করা হয়।  জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্যানুসারে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে নিহত তানিশার ভাই আশ্রাফুল ইসলাম হাসনাত বাদী হয়ে চাচাতো ভাই নিশানকে আসামি করে শুক্রবার সকালে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করলে দুপুরে নিশানকে আদালতে হাজির করলে সে আদালতে হত্যার কথা ম্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টায় ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের আলী ভুঞা বাড়ির সৌদি প্রবাসী শহিদুল ইসলামের ছোট মেয়ে তানিশা ইসলাম তিশার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ডিসি/এসআইকে/এফআরএ