মানিকছড়িতে চলছে ভিজিডির উন্মুক্ত বাছাই

মো. জাকির হোসেন, মানিকছড়ি প্রতিনিধি >>>
‌‌‘ক্ষুধা’ হবে নিরুদ্দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পার্বত্যজেলা খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে চলছে ভিজিডি কার্ডের উন্মুক্ত বাছাই কার্যক্রম।  বাংলাদেশ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় অতি দরিদ্র নারীদের ‘স্বনির্ভরতার জন্য সহায়তা’র অংশ হিসেবে দুঃস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট-ভিজিডি) কর্মসূচিতে দুই বছর মেয়াদী পরিবার প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাউল এর সুবিধা সংক্রান্ত উপকারভোগীর তালিকা তৃণমূলে যাচাই-বাছাই করতে চলছে প্রশাসনের চুলচেড়া বিশ্লেষণ।  প্রশাসনের এই স্বচ্ছ উদ্যোগের প্রশংসা করছেন সবাই।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় অতি দরিদ্র নারীদের ‘স্বনির্ভরতার জন্য সহায়তা’র অংশ হিসেবে দুঃস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট-ভিজিডি) কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।  দুই বছর মেয়াদে পরিবার প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাউল সুবিধার এ কর্মসূচিতে উপকারভোগী বাছাই পর্বে মানিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন ১৮-২৭ অক্টোবর ৪ ইউপির ৩৬টি ওয়ার্ডে গিয়ে প্রকৃত তথ্য যাচাই-বাছাই শুরু করেছে।  এতে দুস্থ ও দরিদ্র নারীরা কর্মসূচির সুবিধা লাভের সুযোগ পাবে।  বিগত সময়ে এই ভিজিডি’র কার্ড প্রাপ্তিতে অনেক দরিদ্র নারীকে বিভিন্ন সুযোগ সন্ধানী গ্রুপকে টাকা দিয়ে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হয়েছে।  কিন্তু এবার উপজেলা প্রশাসনের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যান’রা।
গত ১০ দিন বিরামহীনভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন, ইউএনও তামান্না মাহমুদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আসমা সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে দুস্থ ও দরিদ্র নারীদের আবেদন যাচাই-বাছাই করছেন।  এ সময় ভিজিডি’র সুবিধা পেতে আগ্রহীরা লাইনে দাঁড়িয়ে প্রশাসনের নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।  ফলে প্রকৃত উপকারভোগী শনাক্তে প্রশাসন স্বস্তিবোধ করছে।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে মানিকছড়ি ইউপি’র ৫-৯ নম্বর ওয়ার্ডে বাছাই পর্বে শত শত দুস্থ ও দরিদ্র নারীকে লাইনে দাঁড়িয়ে প্রশাসনের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে দেখা গেছে।
আগামি ২০২১-২০২২- দুই বছরব্যাপি দুস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট-ভিজিডি) কর্মসূচিতে চার ইউপিতে মোট উপকারভোগী ১ হাজার ৪৬৪ জন।  এর মধ্যে ১ নম্বর মানিকছড়ি ইউপিতে ৫০০ জন, ২ নম্বর বাটনাতলী ইউপিতে ২৯০ জন, ৩ নম্বর যোগ্যাছোলা ইউপিতে ৩০৯ জন এবং ৪ নম্বর তিনটহরী ইউপিতে ৩৬৫ জন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ বলেন, সরকারের এই কর্মসূচিতে প্রকৃত উপকারভোগী যাচাই-বাছাইয়ে সুবিধাভোগী খুঁজতে তৃণমূলে গিয়েছি।  এতে সরকারের গৃহীত উদ্যোগ শতভাগ সফল হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের কথা ভাবে বলেই আজ ভিজিডি কর্মসূচির তালিকা বাছাইপর্ব নিখুঁত করতে আমাদের এই প্রয়াস।

ডিসি/এসআইকে/এমজেএইচ