আরো ৫৫৫ রোহিঙ্গা ভাসানচরে

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
অষ্টম ধাপে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ৫৫৫ জন রোহিঙ্গা। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় তাদেরকে নৌ বাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা তিমি’ ও ‘বানৌজা ডলফিনে’ ভাসানচরে আনা হয়।
ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্যাম্প-ইন-চার্জ নওশের ইবনে হালিম জানান, রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পল্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নেওয়া হয়েছে। পরে সেখান থেকে ১ নম্বর ওয়্যার হাউজ হয়ে ৫৬ ও ৬৬ নম্বর ক্লাস্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের আশ্রয় শিবির থেকে বাসে করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। এরপর নৌ বাহিনীর দুটি জাহাজের ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তারা।
২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে সাত দফায় প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠায় সরকার। এ ছাড়া গত বছর মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে রাখা হয়।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সেনাদের অভিযান থেকে প্রাণে বাঁচতে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরগুলোতে বসবাস করছেন। তাদের বেশির ভাগই ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নৃশংস অভিযানের সময়ে পালিয়ে এসেছিলেন। শরণার্থীদের চাপ কমাতে দুই বছর আগে কমপক্ষে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

ডিসি/এসআইকে/আরসি