মাহফুজ আলম. কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি >>>
এখন থেকে রাঙামাটি জেলায় সরকারি-বেসরকারি কোনো সভা-সেমিনার কিংবা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলে কিংবা জাতীয় দিবসসমূহ পালন না করলে বাৎসরিক কার্যক্রমের প্রত্যয়ন বাতিল করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। জেলায় যে সকল এনজিও (উন্নয়ন সংস্থা) কাজ করে তারা যদি জেলা প্রশাসনের আয়োজিত মাসিক সভা বা জাতীয় দিবসসমূহ উদযাপনের প্রস্তুতিমূলক সভা-সেমিনারে অংশগ্রহণ না করে তাহলে তাদের বাৎসরিক প্রত্যয়ন দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মামুন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে এনজিও বিষয়ক মাসিক সমন্বয় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মামুন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সভায় এখানকার এনজিওগুলো অনুপস্থিত থাকে। এছাড়াও পত্র-পত্রিকায় এনজিও সংস্থাগুলোকে নিয়ে লেখালেখিও চোখে পড়েছে। তাই এখানে উপস্থিত সকল এনজিও কর্মীদের আমি বলবো- জাতীয় দিবসসমূহ পালনে প্রশাসনের সাথে সাথে আপনাদের কার্যক্রম যাতে সকলের নজরে আসে।
সভায় রাঙামাটি জেলার বেসরকারি ৩৭টি স্বেচ্ছাসেবী এনজিও সংস্থা যথাক্রমে হিল ফ্লাওয়ার, আশা, খ্রীস্টিয়ান হাসপাতাল (চন্দ্রঘোনা), টংগ্যা, আশ্রয়াঙ্গন, দি লেপ্রসি মিশন বাংলাদেশ, ব্র্যাক, এফপিএবি, জুম ফাউন্ডেশন, টিআইবি, কনসানর্ড উইমেন ফর ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট (সিডব্লিউএফডি), শান্তির আলো উন্নয়ন সংস্থা, আশিকা, গ্রীণহিল, আইডিএফ, কারিতাস, শাপলা নারী উন্নয়ন সংস্থা, পদক্ষেপ, আগাপে, পাড়া, সাস, আরএইচ স্টেপ, হিমাওয়ান্তি, ইপসা, মোনঘর, শাইনিং হিল, ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, প্রোগ্রেসিভ, উইভ, সিএইচটি উইমেন ফোরাম, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), ব্যুরো বাংলাদেশ, সূর্যের হাসি ক্লিনিক, প্রশিকা, শক্তি ফাউন্ডেশন, সিআইপিডি, পুগোবেল এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিসি/এসআইকে/এমএ