চট্টগ্রামের তিন উপজেলার ২৩ ইউপির ১৮ টিতে নৌকার জয়

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের তিন উপজেলার ২৩ ইউনিয়নের ১৮টিতে আওয়ামী লীগ, তিনটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।  বুধবার ভোট গণনা শেষে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তারা এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
ফলাফলে দেখা গেছে, আনোয়ারা উপজেলার ৯ ইউনিয়নের মধ্যে আটটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
বিজয়ীরা হলেন- বারশত ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এমএ কাইয়ুম শাহ, বরুমছড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুক্তিয়োদ্ধা শামসুল আলম, সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অসীম কুমার দেব, পরৈকোড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মামুনুর রশীদ চৌধুরী আশরাফ, হাইলধর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কলিম উদ্দিন ও রায়পুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমীন শরীফ।  এছাড়া তিনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যদিকে, চন্দনাইশ উপজেলার ৭ ইউনিয়নের মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও তিনটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
বিজয়ীরা হলেন- কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল শুক্কুর, বরকল ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আবদুর রহিম, বরমা ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী খোরশেদ আলম টিটু, বৈলতলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এসএম সায়েম, হাশিমপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খোরশেদ বিন ইসহাক ও ধোপাছড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল আলীম।  এছাড়া জোয়ারা ইউনিয়নে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম চৌধুরী।
বোয়ালখালী উপজেলার ৭ ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
বিজয়ীরা হলেন- শাকপুরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল মান্নান মোনাফ, সারোয়াতলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. বেলাল হোসেন, পোপাদিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এসএম জসিম উদ্দীন, চরণদ্বীপ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. সামশুল আলম, শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ মোকাররম, আমুচিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজল দে ও আহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুল হক মান্নান।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।  এ দিন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, পৌষের তীব্র শীতেও সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে স্বতঃস্ফুর্তভাবে ভোট দেন ভোটাররা।  এক্ষেত্রে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
ভোটের আগের দিন কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হলেও ব্যালট পেপার পাঠানো হয় সকালে।  প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি টহলে ছিল র‌্যাব-বিজিবি।
চট্টগ্রাম সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।  আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সতর্ক অবস্থানে ছিল।  সামনের নির্বাচনগুলোও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবো বলে আশা করছি।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর