‘এখন নিজের জান-মাল, স্ত্রী-সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত’, জানালেন আনোয়ারার ৫ স্বতন্ত্রপ্রার্থী

দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের কোনো ইচ্ছে নেই বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আনোয়ারার পরৈকোড়া ইউনিয়ন পরিষদ উপ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ওপর বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলা এবং ভোট কেন্দ্র দখলে নেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে চশমা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আনোয়ারা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবদুল মালেক মানিক অভিযোগ করেন, নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জন প্রতিনিধি উপ নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে।  এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেও রিটার্নিং অফিসার কোনো ধরণের ব্যবস্থা নেননি।  নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার কোনো উদ্যোগ নেই।
স্বতন্ত্র এ চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, গত ১৩ জুন বিকেলে লালাবাজারে আছরের নামাজ আদায় করে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নাজিম উদ্দিন সুজনের নির্বাচনী অফিসে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজিজুল হক বাবুলের সমর্থকরা ভাঙচুর করেন।  সেখানে সুজনকে মারধর করেন। এছাড়াও ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা করছে।
তিনি বলেন, বাড়ি ঘরে নারীরা পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।  গতকাল সোমবার পুলিশ এবং বহিরাগত সন্ত্রীরাও বাবুলের সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে যোগ দেয়।  প্রার্থী এবং আমাদের কর্মীরা এখন ঘর ছাড়া।  আমাদের ১৫ নেতা কর্মীরকে গ্রেফতারের মাধ্যমে একটি এলাকায় ভীতির সঞ্চার হয়েছে। অ নেক নেতা কর্মীর ঘর বাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছে।  নির্বাচন নিয়ে কাজ করবো দূরের কথা এখন নিজের জান-মাল, স্ত্রী-সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
এ সময় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পরৈকোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. আলী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি ও ঘরে অভিযান চালানো হচ্ছে।  এখন নির্বাচনের পরিবেশ নেই, আমরা ৫ প্রার্থীর একটাই দাবি, নির্বাচন স্থগিত করা হোক। আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি সেখানে স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তান নৌকা পেয়েছেন।  উপজেলার নির্বাহী অফিসারও নানা ধরণের দমক দিচ্ছেন।  নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থেকে এলাকায় বহিরাগত অবস্থান করছে।  এখন সেখানে নির্বাচনের পরিবেশ নেই।  আমরা যেকোনো মুহুর্তে নির্বাচন বয়কট করতে পারি।
এ সময় উপসস্থিত ছিলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন সুজন, ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাসান জিয়াউল ইসলাম, টেলিফোন প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ নাজিম উদ্দীন।

ডিসি/এসআইকে/এসইউ