আনোয়ারা প্রতিনিধি
দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় মাদকবহনকালে সিএনজি অটোরিকশা ও ৮২ লিটার বিদেশি মদসহ মো. তৈয়ব (৩৬) নামে ১ মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত তৈয়ব ঐ এলাকার ২নং ওয়ার্ডের দুধকুমড়া গ্রামের লেদু মিয়ার পুত্র। সোমবার (৬ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৩ টায় উপজেলার বারশত ইউনিয়নের দক্ষিণ বারশত এলাকা থেকে আনোয়ারা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আনোয়ারা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সুফল চন্দ্র ও সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করিম মামুনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সোমবার ভোর সাড়ে ৩ টায় বারশত ইউনিয়নের দক্ষিণ বারশত জনৈক নুরুল ইসলামের চায়ের দোকানের সামনের সড়কে অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে পুলিশের সন্দেহ হলে একটি সিএনজি অটোরিকশাকে থামিয়ে তাতে তল্লাশি চালানো হয়। পরে সেই অটোরিকশা থেকে ৮২ বোতল বিদেশি মদসহ সিএনজি অটোরিকশাটি (চট্টগ্রাম-থ-১২-০৫৪৩) জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মদ ও অটোরিকশার আনুমানিক মূল্য ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা বলে জানায় পুলিশ।
তল্লাশির সময় অটোরিকশায় থাকা উপজেলার দুধকুমড়া এলাকার মো. মনুর ছেলে মো. তৈয়ব (২৮) ও নুরুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৮) নামে দুইজন পালিয়ে গেলেও তৈয়বকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে আনোয়ারায় গডফাদারদের আটক না করে একের পর এক খুচরা মাদক কারবারিকে আটকের ঘটনায় জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু খুচরা বিক্রেতাদের গ্রেফতার করা হলেও মাদকের গডফাদাররা আগে থেকেই তথ্য পেয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা অধরাই থেকে যাচ্ছে। এদের গ্রেফতার করা হলে মাদক ব্যবসা বন্ধ করা সম্ভব হতো।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুলাল মাহমুদ দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, সোমবার ভোর সাড়ে ৩ টায় দক্ষিণ বারশত এলাকা থেকে পুলিশ সিএনজি অটোরিকশাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করে। এব্যাপারে আনোয়ারা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ ধারায় মামলা (নং (৬)) দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার কৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ডিসি/এসআইকে/জাআ