নিখোঁজের ৫ দিন পর আফ্রিকার মোজাম্বিকে মিলল বাঁশখালীর নুরুলের গলাকাঁটা লাশ

মু. মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী প্রতিনিধি >>>
দক্ষিণ আফ্রিকার মোজাম্বিকের প্রেম্বা এলাকা থেকে বাংলাদেশি প্রবাসী নুরুল ইসলাম (৩২) নামের এক ব্যবসায়ী বিগত ১২ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হয়।  নিখোঁজের ৫ দিন পর বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই রেমিট্যান্সযোদ্ধার গলাকাটা লাশের সন্ধান পাওয়া যায়।  নিহত নুরুল ইসলাম চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বল ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাম্বল পাতালা মার্কেট এলাকার মুহাম্মদ হোসাইনের ছেলে বলে জানা গেছে।  নিহত নুরুল ইসলামসহ তার ভাই সাইফুল ইসলাম কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার মোজাম্বিকে পাড়ি জমায়।  তিনি মোজাম্বিকের পালমা ডিস্ট্রিকের পালমাতে এক বাঙালির অধীনে চাকুরি করতেন।
প্রবাসে তারা সাড়ে ৪ বছর ধরে আছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।  নিহত নুরুল ইসলাম ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রেম্বা শহরের উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ হন। 
নুরুল ইসলামের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, ‘ভিসা সংক্রান্ত কাজের জন্য শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) আমার বড় ভাই তার গাড়ি নিয়ে নিকটস্থ সরকারি দফতরের উদ্দেশ্যে যান।  এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ-খবর পাওয়া যায়নি।  তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।  এই ব্যাপারে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ করলেও তার সন্ধান দিতে পারেনি মোজাম্বিক পুলিশ প্রশাসন।  তিনি আরো বলেন, আজ (১৬ সেপ্টেম্বর) নিখোঁজের ৫ দিন পর বাংলাদেশ সময় বিকাল আনুমানিক ৪ টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মোজাম্বিকের মাতামিয়া পাহাড়ি এলাকায় আমার ভাইয়ের গলাকাঁটা লাশের সন্ধান পাই।
আফ্রিকা প্রবাসী অনেকেই জানিয়েছেন, মোজাম্বিকের প্রেম্বা শহরকে জনশূন্য করতে মূলত জঙ্গিগ্রুপের সক্রিয় বাহিনী সবসময় তৎপর থাকে।  স্থানীয়সহ প্রবাসী বাঙালিদের তারা ধরে নিয়ে যায় তাদের আস্তানায়।  প্রেম্বা শহর থেকে তাদের আস্তানা পালমা এবং মাতামিয়া পাহাড়ি স্থানের দূরত্ব প্রায় ৬০০ কিলোমিটার।  তারা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী গ্রুপের ওই জায়াগা স্থানীয় প্রশাসের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে।  তারা প্রতিনিয়ত লোকজনদের ধরে নিয়ে হত্যা করে এবং তারা নিজেরাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিহতদের ছবি প্রচার করে।
এদিকে নিখোঁজের পাঁচদিন পর নুরুল ইসলামের গলাকাটা লাশ পাওয়া যাওয়ার খবরে তার নিজ বাড়ি বাঁশখালীর পূর্ব চাম্বল মাঝর পাড়া এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

ডিসি/এসআইকে/এমএমবিটি