একটি সড়কই চান চন্দনাইশের ধোপাছড়ি ইউনিয়নবাসী

ওসমান চৌধুরী, চন্দনাইশ প্রতিনিধি >>>?
দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার পাহাড়ি জনপদ ধোপাছড়ি ইউনিয়ন।  দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় এই ইউনিয়নের সাথে সংযোগ সড়ক নেই উপজেলা সদর চন্দনাইশের সাথে।
পাহাড়বেষ্টিত সাঙ্গুনদীর অপরূপ মোহনীয় নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্যে ভরপুর ধোপাছড়ি ইউনিয়ন।  দোহাজারী সড়ক ও জলপথ এবং বান্দরবান সড়ক ও জলপথ বিভাগের আওতায় খানহাট থেকে ধোপাছড়ি এবং ধোপাছড়ি থেকে বান্দরবানসুশী প্রস্তাবিত সড়কটির কিছু অংশের কাজ হলেও মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।  কবে নাগাদ আলোর মুখ দেখবে তাও বলতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।
স্বাধীনতার ৫০ বছর একবিংশ শতাব্দীর মাঝপথে দাঁড়িয়ে আজো ধোপাছড়ি ইউনিয়নবাসী সড়কের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
জানা গেছে, ধোপাছড়ি ইউনিয়নটি কৃষি নির্ভর এলাকা।  এই ইউনিয়নের শতকরা ৯৫% লোক কৃষি কাজে জড়িত।  একটিমাত্র সড়ক নির্মিত হলে এলাকার জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হবে বলে মত স্থানীয়দের।
জানা গেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মুক্তিযুদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী দোহাজারী-দিয়াকুল-চিড়িংঘাটা-ধোপাছড়ি বাজার সড়কটি তৈরি করতে এলজিইডি’র প্রকল্প আনেন।  সেই প্রকল্পের আওতায় সড়কটির অর্ধেকাংশের ইটের সলিংও বসানো হয়েছে।  প্রায় ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার এই ইট বিছানো সড়কটি সংশ্লিষ্টদের গাফেলতি এবং সঠিক পরিকল্পনার অভাবে পূর্ণতা পায়নি।  সড়কের দুইপাশে ড্রেইন না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই ইটগুলো সড়ক থেকে সড়ে যাচ্ছে।
এই ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোরশেদ আলমের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এখনো সড়কের কাজ বুঝিয়ে দিতে পারেনি।  সঠিকভাবে সড়কের কাজ বুঝিয়ে না দিলে প্রকল্প সমাপ্ত সংক্রান্ত কাগজপত্রে স্বাক্ষর করা হবে না।

ডিসি/এসআইকে/ওসি