ফটিকছড়ির ভূজপুরকে উপজেলা করার দাবিতে মানববন্ধন

মোহাম্মদ জিপন উদ্দিন, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি >>>
উত্তর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার আওতাধীন ভূজপুর থানাকে আলাদা উপজেলা করার দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন ভূজপুরে বসবাসরত বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন মানববন্ধন করেছে।  বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩ টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন ফটিকছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক চৌধুরী, ভূজপুর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মো. টিপু, মাওলানা সৈয়দুল হক, অ্যাড. পার্থ নন্দী, রোকন উদ্দিন সিকদার, মিনহাজ উদ্দিন, নোমান বিন খুরশিদ, হাসান মাসুদ, আবদুস সাত্তার, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভূজপুরের আওতাধীন ৬টি ইউনিয়ন, বাংলাদেশের ১৬৩টি চা বাগানের মধ্যে ১৫টি চা বাগানের অবস্থান ভূজপুর থানায়।  এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বিশাল আয়তনের দাঁতমারা রাবার বাগান রয়েছে এ ভূজপুরে যার আয়তন সাড়ে চার হাজার একর।  তাছাড়া ছোট-বড় আরো কয়েকটি রাবার বাগান রয়েছে এ ভূজপুরেই।  তারপরেও আমরা অবহেলিত।  আমাদের উত্তরের মানুষগুলোর জন্য সরকারি কোনো হাসপাতাল নেই, নেই কোনো ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।  আমরা এর আগেও অনেকবার আন্দোলন করেছি এবং কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও প্রেরণ করেছি।  আমরা ভূজপুরবাসী জোর দাবি জানাচ্ছি- ভূজপুরকে যেন উপজেলা হিসাবে রূপান্তরিত করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, ফটিকছড়ির সিংহভাগ সুযোগগুলো দক্ষিণাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে দেখা যায়।  উত্তর ফটিকছড়ি তথা ভূজপুর উত্তরের ৩-৪টি ইউনিয়ন থেকে ফটিকছড়ি ও চট্টগ্রাম শহরের দূরত্ব বেশি থাকায় বিভিন্ন খাতের সুবিধা বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাখাতে অনেকটা অবহেলার শিকার হতে হয়।

কেন উপজেলা করতে হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে হাজ্বী টিপু বলেন, ‘এ থানাধীন ইউনিয়নগুলো যেমন আয়তনে বড় তেমনি ওয়ার্ড গুলোও বড়।  এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে বিদ্যুৎসহ অত্যাধুনিক সুবিধাগুলো জনগণ পাচ্ছে না।  আশেপাশে পাহাড়-বনে ঘেরা থাকায় নানান অপরাধও সংঘটিত।  থানাটিকে উপজেলা করা গেলে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ করে করা যেতে পারে উন্নয়ন।  সে সাথে কমে আসবে অপরাধ কর্মকাণ্ডও।

ডিসি/এসআইকে/এমজেইউ