ফটিকছড়িতে গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ কর্মসূচি

মোহাম্মদ জিপন উদ্দিন, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি >>>
‌‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, সড়ক হবে সংস্কার’- এ স্লোগানে ফটিকছড়িতে গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে মাসব্যাপি বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর।  দপ্তরের রাজস্ব ফান্ড থেকে এসব গ্রামীন সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে।  মাসব্যাপি কর্মসূচির প্রথমদিন কাজিরহাট-নাজিরহাট সড়কটি সংস্কার তথা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(১ অক্টোবর) সকালে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু হয়।
জানা গেছে, গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ এই কর্মসূচির আওতায় নাজিরহাট জিসি হতে কাজিরজাট জিসি সড়ক চেইনেজ (১০২৪৫ মিটার -১৬০১০মিটার) পর্যন্ত ৬ জন মহিলা কর্মী LCS ও ১ জন সুপারভাইজারের সহায়তায় রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করা হয়।  এ কাজের জন্য দুই বছরের চুক্তি হয়।  RERMP-৩ প্রকল্পের আওতায় ফটিকছড়ি উপজেলাধীন ১৮টি ইউনিয়ন থেকে প্রতি ইউনিয়নে ১০ জন করে মোট ১৮০ জন মহিলা কর্মী দিয়ে গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হচ্ছে।  প্রতিজন মহিলা কর্মীর একদিনের বেতন ৩০০ টাকা ও ১ জন সুপারভাইজারের বেতন ৩৫০ টাকা।
উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সালাম দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, সারাদেশে গ্রামীণ সড়কের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করার জন্য চলতি অক্টোবর এবং আগামি বছরের মার্চকে রক্ষণাবেক্ষণ মাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।  নির্মাণ সামগ্রী, আধুনিক প্রযুক্তি এবং জবাবদিহিতা এবং সুপারভিশন নিশ্চিত করা গেলে তার সুফল পাওয়া সম্ভব।
প্রসঙ্গত, নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়কটি প্রায় ৫-৬ বছর ধরে সংস্কারের অভাবে বড় বড় গর্ত এবং রাস্তার আশেপাশের অনেক অংশ ভেঙে প্রায় চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে।  এমন দুর্ভোগের লাগাম টানতে ফটিকছড়ির সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারির সার্বিক সহযোগিতায় এ সড়ক সংস্কারের জন্য সাড়ে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।

ডিসি/এসআইকে/এমজেইউ