ফটিকছড়িতে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ, আহত ২, নানুপুরে আজম ও সুয়াবিলে জয়নাল নির্বাচিত

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
উত্তর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল ও নানুপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।  তবে ভোটগ্রহণকালে একটি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের ২ নেতা আহত হয়েছেন।  এছাড়া কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।  আহতরা হলেন আলী আকবর জুনু (৪৫), ইমাম উদ্দিন জেম (৩৫)।  তাদের মধ্যে আলী আকবর জুনু নাজিরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ইমাম উদ্দিন জেম উপজেলা যুবলীগের সদস্য।  তাদের দু’জনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।  তবে চিকিৎসকের পরামর্শে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তাদের পাঠিয়ে দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর প্রথম তিন ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ থাকলেও বেলা এগারটার দিকে সুয়াবিলের শোভনছড়ি জে এম সি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনা ঘটে।  এসময় এক দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে গিয়ে দলের এ দুই প্রার্থী লোকজনের রোষানলে পড়েন।
প্রিজাইডিং কর্মকর্তা লিটন দেব নাথ দৈনিক চট্টগ্রামকে জানান, ‘কেন্দ্রের বাইরে এসব ঘটনা ঘটলেও আমাদের ভোট প্রদানে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি।  আর আমরা এই বিষয়ে সচেতন ছিলাম যাতে ভোটারদের মধ্যে কোনো ভীতি কাজ না করে’।
দুই ইউনিয়নের ১৮টি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। প্রত্যেকে স্ব স্ব প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরেছেন।  অনেকে স্বাচ্ছন্দে ভোট প্রয়োগ করতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।  উল্লেখিত একটি কেন্দ্র ছাড়া আর কোনো কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবুল আকতার জানান, ‘একটি কেন্দ্রে সামান্য গোলযোগ হয়েছে। সেটি নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। দিনভর শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। পরিস্থিতি ছিল শান্ত’।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সায়েদুল আরেফিন জানান, ‘একটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্নভাবে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে’।
এদিকে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, নানুপুরে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মো. শফিউল আজম ৪ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।  তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের আমান উল্লাহ পেয়েছেন ৩ হাজার ১৮৭ ভোট।  অন্যদিকে, সুয়াবিলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মো. জয়নাল আবেদিন ৩ হাজার ৮৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।  তাঁর নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের এম. হায়াত পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯২ ভোট।
উল্লেখ্য, উপজেলার সুয়াবিলে নির্বাচন হয় ২০০৬ সালের ২৮ জুন। পরে দৌলতপুর ও সুয়াবিলের একাংশকে নিয়ে নাজিরহাট পৌরসভা গঠন সংক্রান্ত মামলায় সুয়াবিলের নির্বাচন আটকে যায়।  অপরদিকে নানুপুর ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে পদটি শূন্য হলে সেখানে উপনির্বাচন দেওয়া হয়।

ডিসি/এসআইকে/এমজেইউ