ফটিকছড়িতে ৫৩০ পরিবার পেল ‘স্বপ্নের ঘর’

মোহাম্মদ জিপন উদ্দিন, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি >>>
‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২য় পর্যায়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় জমিসহ স্বপ্নের ঘর পেয়েছেন ৫৩০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।
রবিবার (২০ জুন ) সকাল সাড়ে নয়টার সময় সারাদেশে একযোগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গৃহ হস্তান্তর উপলক্ষে ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের জহুরুল হক হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সায়েদুল আরেফিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ফটিকছড়ি আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি।  অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিমউদ্দীন মুহুরী, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন নাহার মুক্তা, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিসান বিন মাজেদ, ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন।  এসময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী, উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক ও উপকারভোগী পরিবারগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ফটিকছড়ি উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে ৫৩০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।  প্রথমধাপে ৭০টি গৃহ জমিসহ হস্তান্তর করা হয়।  ওই ঘরগুলো খাস জমিতে নির্মাণ করা হয়।  এজন্য ইতোমধ্যে ৩৪.৫৬ একর খাস জমি অবৈধ দখলদারদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।  ভূমিগুলোর নামজারি খতিয়ানও ঘর গ্রহণকারীদের হাতে তুলে দেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সায়েদুল আরেফিন দৈনিক চট্টগ্রামকে বলেন, ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায় থেকে জনপ্রতিনিধিদের পাঠানো তালিকা কঠোরভাবে মূল্যায়ন ও সঠিকভাবে যাচাইপূর্বক ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন তালিকা প্রস্তুত করা হয়।  উপকারভোগীদের জন্য সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রকল্প স্থানে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক গভীর নলকূপ ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহায়তায় বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।  আশা করা যায় প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগের মাধ্যমে ফটিকছড়িতে আর কোনো ভূমিহীন গৃহহীন পরিবার থাকবে না।
এদিকে সরকারের দেওয়া পাকা ঘরে বসবাস করতে পারবেন ভেবে ভীষণ আনন্দিত গৃহহীন মানুষগুলো।

ডিসি/এসআইকে/এমজেইউ