বন্ধুদের সাথে সাঁতার : মাঝপুুকুরে ডুবে যুবকের মৃত্যু

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি >>>
রেজাউল, ইয়াছিন ও রুবেল; তিন বন্ধু তারা। থাকেন রাজধানী ঢাকার খিলগাঁও থানার সিপাহীবাগ এলাকায়। একটি বৌভাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ফটিকছড়ির দরবার শরীফে আসেন এই তিনবন্ধু। রাতের গাড়িতে চড়ে রবিবার সকালে পৌঁছেন লক্ষ্যিত গন্তব্যে। ক্লান্ত শরীর; তাই ঘুমিয়ে পড়েন তারা। দুপুর পেরিয়ে বিকেলে ঘুম তেকে উঠেন। পরে বিকেল পাঁচটার দিকে তারা তিন বন্ধু মিলে নিজেদের মধ্যে পুকুরে সাঁতার প্রতিযোগিতায় নামেন। এসময় দুই বন্ধু পুকুরের এপার থেকে ওপারে পাড়ি জমাতে পারলেও অন্যবন্ধু ইয়াছিন (২৫) মাঝ পুকুরে দাঁপাতে থাকেন। তাকে ডুবে যেতে দেখে বন্ধুদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন; ইয়াছিনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে যাওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি উত্তর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার মাইজভান্ডার দরবার শরীফে ঘটেছে। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দরবার শরীফের শাহী পুকুরে ডুবে এই যুবকের মৃত্যু হয়। স্থানীয় একটি বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবার সকালে তিনিসহ তিন বন্ধু মিলে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে আসেন। ইয়াছিন পেশায় ছাপাখানার শ্রমিক।
ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক (ইএমও) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই ইয়াছিন নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে’।
ইয়াছিনের বন্ধু মো. রুবেল হোসেন জানান, ‘আমরা তিনজনই ঢাকায় একই এলাকায় থাকি। আমরা ঘণিষ্ঠ বন্ধু। সবাই মিলে ফটিকছড়িতে বৌভাতে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে এসে এতো বড় একটি দুর্ঘটনায় পড়ে যাব ভাবতে পারছি না’। রুবেল তার বন্ধু ইয়াছিনের এমন চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছিলেন না।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবুল আকতার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা পুলিশ পাঠিয়েছি লাশ উদ্ধারের জন্য। পরে আইনী প্রক্রিয়া শেষে যুবকের লাশ তার পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে’। 

ডিসি/এসআইকে/এমজে