প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলেন ত্রিপুরা পল্লীর ৬ পরিবার

মো. মোতাহের উদ্দিন মাজেদ, হাটহাজারী থেকে >>>
হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের মনাই ত্রিপুরা পল্লীর ৬টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ৬টি বসতঘর উপহার হিসেবে বুঝিয়ে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন।  গত বছরের মার্চ মাস থেকে মূলত ১২টি ঘরের কাজ শুরু হয়।  তারমধ্যে ৬টি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে, বাকি ৬টি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তৈরি করে দেয়া হয়।  মূলত সেখানকার পাহাড়ের ঢালুতে, পাদদেশে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের জন্য এসব ঘর তৈরি করে দেয়া হয়।  প্রতিটি ঘরে দুইটি রুম, ঘরের পেছনে ও সামনে বারান্দা, আলাদা পাকের ঘর ও টয়লেট রয়েছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত সুবিধাবঞ্চিত ও পাহাড়ের পাদদেশে অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণভাবে বসবাস করছিলেন হাটহাজারীর নিভৃত মনাই ত্রিপুরা এলাকার বাসিন্দারা।  পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশংকা ছিল সব সময়ই।  গত কয়েক বছর আগে অজ্ঞাত রোগে এখানকার বেশ কিছু শিশুর মৃত্যু এবং রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে।  আর এর সূত্র ধরেই মনাই ত্রিপুরা পল্লী সবার নজরে আসে।  পরে জানা যায় হাম-রুবেলার টিকা না দেয়ায় শিশুদের মৃত্যু হয়েছে।  এছাড়াও পল্লীর মানুষেরা ছিল সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত।  পরবর্তীতে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোকে সমতলে নিয়ে আসার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১২টি পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়।  ২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে ৬টি পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ৬টি ঘর তৈরির কাজ শুরু হয় যা চলতি বছরের শুরুর দিকেই শেষ হয়।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগে।  তবে হঠাৎ করে করোনার প্রাদুর্ভাব ও লকডাউনের কারণে বাকী ৬টি ঘরের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি।  এগুলোও দ্রুত তৈরি করে বাকী ৬ পরিবারকে পুনর্বাসন করে দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, আপাতত প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেওয়া ৬টি ঘর গতকাল বুধবার (২৭ মে) ৬টি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  ত্রিপুরা পল্লীর অধিক ঝুঁকিতে বসবাস করা সচীন ত্রিপুরা, সত্যলক্ষী ত্রিপুরা, শাওন্তী ত্রিপুরা, অনীল ত্রিপুরা, সম্ভরাম ত্রিপুরা, বিষুরাম ত্রিপুরাকে উপজেলা প্রশাসন এসব ঘর বুঝিয়ে দেয়।  বর্ষার আগেই নিজেদের পাকা ঘর বুঝে পেয়ে যারপনাই খুশি পল্লীর এসব পরিবার।

ডিসি/এসআইকে/এমএমইউএম