হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে মামুনুল হকের রিসোর্টেকাণ্ডের প্রসঙ্গে হেফাজত আমির জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, এটি মামুনুল হকের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
রবিবার (১১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে হাটহাজারী মাদ্রাসায় প্রেস ব্রিফিং করে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত মাদ্রাসায় দেশের বিভিন্ন এলাকার হেফাজত নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন হেফাজত আমীর। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং করেন।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হেফাজত আমির বলেন, আজকে আমাদের বৈঠকে কোনো ব্যক্তিকে নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি, কাউকে প্রত্যাহার অথবা অব্যাহতি দেওয়ার কোনো আলোচনা হয়নি। মামুনুল হকের বিষয়ে আমাদের একটি জবাব- এটি উনার ব্যক্তিগত বিষয়। এর বাইরে আমরা এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি নই।
গত ২৬ মার্চ হাটহাজারীতে ভাঙচুরের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে গেছেন হেফাজতের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি বলেন, গত ২৬ মার্চ যে ঘটনা ঘটেছে, ওই দিন হেফাজতে ইসলামের কোনো কর্মসূচি ছিল না। জাতীয় ও আঞ্চলিক কোনো জায়গায় আমাদের কোনো কর্মসূচি ছিল না। এ কারণে বিষয়টি আমরা ওয়াকিবহাল ছিলাম না। আমি নিজেও অনেক দূরে ছিলাম। কিছু মানুষ মিছিল বের করেছে, তারা বলেছে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করেছি। এই শান্তিপূর্ণ মিছিলে প্রশাসনের কিছু লোক, পুলিশ বাহিনী নির্বিচারে গুলি করে। হাটহাজারীতে চারজনকে হত্যা করেছে। আমাদের কথা হচ্ছে- তারা কারা আমরা জানি না, আমরা ছিলামই না।
জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, তারা যদি কিছু ভাঙচুরও করে, তাহলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে পারে। রাবার বুলেট ছুঁড়তে পারে। এরপর গুলি করতে হলেও হাঁটুর নিচে গুলি করবে। যেন উত্তেজনা দমন হয়ে যায়। কিন্তু আমি সফরে ছিলাম, সফর থেকে আসার পথে হাসপাতালে গিয়েছি। চমেক হাসপাতালে সেখানে চারজন লাশের কারও পেটে গুলি, কারও বুকে গুলি, কারো মাথায় গুলি দেখেছি। এগুলো কি দেশের আইন?
ডিসি/এসআইকে/এসইউ