বহিষ্কার হয়েও চবিতে পরীক্ষা!

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
বিভিন্ন অপরাধে গত ৯ জানুয়ারি ১৭ জন ছাত্রলীগ কর্মীসহ মোট ১৮ জনকে বহিষ্কার করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও বহিস্কৃত শিক্ষার্থীদের বিভাগে চিঠি না পাঠানোয় অনায়াসে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তারা। সংহত কারণেই অন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে অপরাধ সংঘটনের পর শাস্তিভীতি কমে যাচ্ছে।
জানা গেছে, আজ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) চবি সংস্কৃত বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ৪০৩ নম্বর কোর্সের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বহিস্কৃত শিক্ষার্থী অনিক দাস। তিনি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ২২৫ নম্বর কক্ষে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় তিনি অংশ নেন। অনিক দাস সংস্কৃত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। এছাড়া তিনি শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয় গ্রুপের কর্মী হিসেবে পরিচিত। গত ২ ডিসেম্বর চবির এএফ রহমান হলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হ্ওয়া, হলের কক্ষ ভাংচুরসহ মূল্যবান সম্পদ নষ্ট করা ও কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর হামলার চেষ্টা ও হুমকি প্রদর্শনের ঘটনায় এক বছরের জন্য বহিস্কৃত ছয়জনের একজন ছিলেন অনিক দাস।
সংস্কৃত বিভাগের সভাপতি রাজপতি দাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে এখনও আমরা কোনো বহিষ্কারের চিঠি পাইনি। তাই আমরা তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্য সচিব চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, অনেকে একসঙ্গে বহিষ্কার হওয়ায় চিঠিগুলো পাঠাতে কিছুটা সময় লাগছে। তবে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে চিঠিগুলো পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে গত বুধবার (১১ জানুয়ারি) বহিস্কৃত হয়েও পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মী মাহমুদুল হাসান ইলিয়াস ও একই বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ও বিজয় গ্রুপের কর্মী নাহিদুল ইসলাম।

ডিসি/এসআইকে/সিআর