লালখান বাজারে রেজাউলের নির্বাচনী প্রচারণায় সংঘর্ষে আহত ১৫

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চসিক নির্বাচনের প্রচারণাকালে চট্টগ্রাম নগরের ১৪ নম্বর লালখানবাজার ওয়ার্ডের টাইগারপাসের বটতল এলাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুইগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।  নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিমের প্রচারণায় সংঘটিত এই সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।  আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে থাকা দলটির নেতা-কর্মীরা জানান, লালখানবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের গণসংযোগ ছিল বিকেল সাড়ে ৫ টায়।  এ সময় তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আলম, লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিদ্দিক আহমেদ যোগ দেওয়ার কথা ছিল।  অতিথিরা আসার আগে লালখান বাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মো. বেলাল ও লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম তাদের অনুসারীদের জমায়েত করতে থাকেন।  এ সময় দুই পক্ষ মুখোমুখী হলে উত্তেজনা বেড়ে যায়।  দুই পক্ষই একে অপরকে পাথর নিক্ষেপে করেন।  পরে সংঘর্ষে জড়ান।  এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মো. বেলাল বলেন, দিদারুল আলম মাসুম কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করছে।  মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমের প্রচারণা উপলক্ষে আমাদের কর্মীরা জমায়েত হলে মাসুমের অনুসারীরা আমাদের উপর হামলা করে।  এতে আমাদের কর্মী মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ, মাহমুদ ও শাহীন আহত হন।  তাদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় আমাদের কর্মীরা জমায়েত হওয়ার সময় বেলাল গ্রুপের লোকজন পেছন দিক থেকে অতর্কিত হামলা করে।  এতে আমাদের ১২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।  বেলাল গ্রুপের সঙ্গে অনেক ছাত্রদলের নেতা-কর্মীও যোগ দিয়ে আমাদের উপর হামলা করে।
খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব হোসেন বলেন, বেলাল আর মাসুম গ্রুপের মধ্যে ঝামেলার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।  যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ প্রস্তুত আছে।

ডিসি/এসআইকে/এমএনইউ