নারী সমাজের মুক্তি খালেদা জিয়ার মুক্তির সঙ্গে জড়িত : ডা. শাহাদাত

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বর্তমান অগণতন্ত্রিক সরকারেরর আমলে নারীরা সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত হচ্ছে।  নারীদের নির্যাতন করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।  গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।  বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মুক্তি খালেদা জিয়ার মুক্তির সঙ্গে জড়িত।  নারী সমাজের মুক্তিও খালেদা জিয়ার মুক্তির সঙ্গে জড়িত।
তিনি সোমবার (৮ মার্চ) বিকালে দলীয় কার্যালয় নাছিমন ভবনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের নেত্রী খালেদা জিয়া কারাবন্দী।  তিনি বাংলাদেশে নারী জাগরণের জন্য আন্দোলন করেছিলেন।  নারীর ক্ষমতায়ন করার জন্য কাজ করেছিলেন।  তিনি মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য অবদান রেখেছেন।  তাঁকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে।  সরকার মা-বোনদের নির্যাতন করে কারাগারে পাঠাচ্ছে।  এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।  এই নারী দিবসে নারী সমাজ ও সবাইকে শপথ নিতে হবে যে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নারী সমাজের আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে চাই।  আসুন এই দিনে সবাই শপথ গ্রহণ করি।
প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এই সরকারের সময় নারীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হচ্ছে।  নারীর ওপর সহিংসতা এবং বৈষম্য চলছেই।  জনগোষ্ঠীর ৫০ ভাগকে কষ্টে রেখে কোনো জাতি উন্নতি করতে পারেনি।  আমাদের দেশের পোশাক কারখানায় ৮৫ ভাগের বেশি নারী শ্রমিক কাজ করে থাকলেও ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তাঁদের কোনো ছুটি প্রদান করা হয়ে থাকে না।  বাংলাদেশে প্রথম নারী মুক্তি আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।  তিনিই প্রথম উপলব্ধি করেছিলেন, অর্ধেক জনসংখ্যাকে পেছনে ফেলে রাষ্ট্র নির্মাণ সম্ভব না।  সে কারণে একটি মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় তৈরি করেন এবং নারীদের সব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন।  কেবল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রীব্যবস্থাই নারী অধিকার নিশ্চিত করতে পারে।  নারী মুক্তি ও নারী স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে’ সর্বস্তরের মানুষকে সোচ্চার হওয়ার হতে হবে।  আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারী প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার শপথ নিতে হবে এবং তারই নেতৃত্বে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা।
চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নগর মহিলা দলের সহ-সভাপতি মারিয়া সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুন নাহার লিজা, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ফারহানা জসিম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তাসলিমা আহমদ লিমা, চকবাজার থানা মহিলা দলের সভাপতি কানিজ ফাতেম, পাঁছলাইশ থানা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জিন্নাত রাজ্জাক, আকবর শাহ থানা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জোহরা বেগম, বাকলিয়া থানা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক কামরুন নাহার।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ফারহানা আক্তার পারভীন, ফাতেমা কাজল, হাবিবা সুলতানা, অ্যাড. কাজী কামরুন নেছা, অ্যাড. আয়েশা আক্তার সানজি, অ্যাড. আসমা খাতুন, রানী বেগম প্রমুখ।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর