নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সমাবেশ

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমনের এই ক্রান্তিকালে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ডাল, তেল, মুরগীসহ খাদ্য সামগ্রীর দাম সীমাহীনভাবে বেড়ে গেছে।  অসহায়, হতদরিদ্র এবং দিনমজুর মানুষেরা অতিকষ্টে জীবনযাপন করছে।  মুনাফালোভী ব্যাবসায়ীরা সরকারি উদাসীনতার কারণে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।  সরকারের মন্ত্রী এমপিরা তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে বাজারকে অস্থিতিশীল করার পিছনে ইন্ধন দিচ্ছে।  তাই দেশে এখন নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে।  এক ভয়ংকর অনিশ্চয়তা ঘিরে ফেলেছে জনজীবনকে।  মানুষ এখন অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।  কিন্তু করোনা ভাইরাসের মতো এতো বড় মহামারির মধ্যেও ক্ষমতাসীনরা সারাদেশে সাজ-সজ্জার নামে হাজার কোটি টাকা অপচয় করছে।  বর্তমানে একটা ভয়াবহ অমানবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে, সাধারণ মানুষ দিশেহারা।
তিনি আজ সোমবার (২২ মার্চ) বিকালে চট্টগ্রাম নগরের নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনা এখন আবারো ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে।  টিকা দেওয়ার পরও মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।  সময়মত কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ার মাশুল হিসাবে করোনার দ্বিতীয় ধাপ অতিক্রম করছি আমরা।  সামনে সর্বোচ্চ সতর্ক না হলে সেটা আর সামাল দেয়া যাবে না।  অকল্পনীয় পরিণতি বরণ করতে হবে।  সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, রোজা শুরুর আগে থেকেই বাজার অস্থিতিশীল করেছে মুনাফাশিকারি চক্রগুলো।  তারা নানা ভিত্তিহীন অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষের পকেট কাটছে।  বাজারে মুনাফা শিকারিদের অপতৎপরতা চলছে নানা কৌশলে।  তার পরিণামে দুর্ভোগ নেমে আসছে স্বল্প আয়ের মানুষদের জীবনে।  করোনাকালে আয়ের পথ রুদ্ধ হয়ে এমনিতেই সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ওষ্ঠাগত।  তার সাথে বাজারে মুনাফা শিকারিদের অপতৎপরতা অব্যাহত থাকলে সামনের পরিস্থিতি আরো দুর্বিষহ হবে।  তিনি বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকারী অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের শাস্তির আওতায় এনে লাগাম টেনে ধরার আহবান জানান।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য জয়নাল আবেদিন জিয়া, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, মো. সেকান্দর, মো. সালাউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, শরিফ উদ্দীন খান, ওয়ার্ড সভাপতি আকতার খান, নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, মশিউল আলম স্বপন, আবদুল্লাহ আল সগির, কাজী শামসুল আলম, মো. ইলিয়াস চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, এম এ হালিম বাবলু, ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম, সৈয়দ আবুল বশর, হাজ্বী এমরান উদ্দীন, জসিম মিয়া, আবুল বশর, আবু ফয়েজ, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, হাসান চৌধুরী ওসমান, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ।

ডিসি/এসআইকে/ইউএস