মাস্ক ব্যবহারে আগ্রহ বাড়াতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের প্রচারণা

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনসাধারণকে মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণা চালাচ্ছেন জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান।  রোববার (৪ এপ্রিল) দুপুরে নগরের কাজীর দেউড়ি বাজারে গিয়ে তিনি মাস্ক বিতরণ করেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) ড. বদিউল আলম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলমসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, রোববার নগরের ২০টি এলাকায় ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিট্রেটের নেতৃত্বে সচেতনতামূলক কর্মসূচি চলছে।  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রচারণার পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।   এর আগে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসনের এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সীমিতকরণের পর্যায়টা এমনভাবে নেওয়া যাতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা হয়।  মানুষের মাঝে মাস্ক পরার প্রবণতাটাও যেন বাড়ে।  তার মানে হলো ব্যক্তি পর্যায়ে যে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, সেটা বাধ্য করার একটি কৌশল।
তিনি বলেন, আগামি সাতদিনের যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে এটা বেশি দিনের জন্য না।  প্রথমত সাতদিনের জন্য সরকারি ব্যবস্থা।  এসময় প্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা থাকবে।  ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাথমিক এই ব্যবস্থা, তার ফলাফলের ভিত্তিতে হয়তো নির্দেশনা পরিবর্তিত হতে পারে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রামে গত চার-পাঁচদিনে সংক্রমণের হার অনেক বেড়ে গেছে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকাতেই নব্বই শতাংশ প্রায়।  সেজন্য ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার বিশটি এলাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।  তারা দুপুর দুইটা পর্যন্ত সেই এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন।  তারপর আবার বিকাল চারটা থেকে সন্ধ্যা চারটা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। একইসঙ্গে বি‌আরটিএ’র তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চট্টগ্রামের তিনটি পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করবেন, যাতে গণপরিবহনে পঞ্চাশ ভাগ যাত্রী বহনের বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়।  আমাদের যে কর্মসূচি শুরু হয়েছে, চট্টগ্রামের সব উপজেলায় একযোগে তা পালন করবো।
তিনি আরও বলেন, মানুষকে সচেতন করার এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গত দুই সপ্তাহে দুইজন ইউএনও, দুইজন এসি (ল্যান্ড), এডিসিসহ আমাদের জেলা প্রশাসনের আটজন কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন।  তারা এখনও হাসপাতালে এবং বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।  আমরা প্রতিদিন বিশটি টিম নামাবো না।  মানুষজন এখন অনেক সচেতন হয়েছে।  বাংলাদেশের যেকোনও জেলার চেয়ে এমনকি ঢাকা শহরের চেয়েও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন অঞ্চলে অধিক সংখ্যক মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন ও পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক।

ডিসি/এসআইকে/এমএনইউ