আন্দোলন ঠেকাতে লোক ভাড়া করলেন হুইপ

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অপমানের প্রতিবাদে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মান সংরক্ষণ পরিষদ’র ডাকা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পণ্ড করতে টাকার বিনিময়ে লোক ভাড়া করার অভিযোগে উঠেছে।  শুধু তাই নয়, সমাবেশে আসার আগে পটিয়ায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানেরও আয়োজন করে হুইপ পরিবার।
বুধবার (৯ জুন) বিকেলে বাস, মাইক্রোবাসযোগে নগরের জামালখান মোড়ে জড়ো হতে থাকেন হুইপের ভাড়া করা লোকজন।  সংখ্যা বাড়াতে কোমলমতি শিশু-কিশোরদেরও এনেছেন হুইপ সামশুল হকের অনুসারীরা।
জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ পণ্ড করতে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে একাধিক বাসের ব্যবস্থা করা হয় হুইপ পরিবারের পক্ষ থেকে।  এর মধ্যে হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান হাফেজ ও যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম জসিমের নেতৃত্বে তিনটি বাস, সুচক্রদণ্ডী ও খান মোহনা এলাকা থেকে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে তিনটি বাস, পটিয়া পৌরসভার মাজারঘাটা এলাকা থেকে কাউন্সিলর গোফরান রানার নেতৃত্বে তিনটি বাস, পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র অধ্যাপক হারুনের নেতৃত্বে একাধিক মাইক্রোবাস ও বাস আসে।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুল শিক্ষার্থীদের সামশুল হক চৌধুরীর নাম সম্বলিত প্লেকার্ড ও ব্যানার দেওয়া হয়।
বাসে আসা বেশ কয়েকজন জানান, তাদের টাকার বিনিময়ে আনা হয়েছে।  মাথাপিছু ১ হাজার টাকা করে দিয়েছেন।  এ ছাড়া আসা-যাওয়ার জন্য গাড়ি, দুপুরের খাবার এবং বিকেলের নাশতার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কিশোর বললো, পটিয়া ইন্দ্রপোল এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করানো হয়।  সেখান থেকে বাসে করে আমাদের শহরে নিয়ে এসেছে।  আমাদের স্কুল বন্ধ, তাই সমাবেশের নাম করে শহর দেখতে আসলাম।  এক বড় ভাইয়ের কথায় আমি সভায় এসেছি।
দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান আমাদের সমাবেশে এনেছেন।  তিনি প্রতিজনকে ১ হাজার টাকা করে দেবেন।  না হলে সমাবেশে কী জন্য আসবো?  হুইপ আমার মা-বাপ লাগে নাকি?
বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মান সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা অভিযোগ করেছেন, পূর্বঘোষিত চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সমাবেশে অংশ নিতে মিছিল নিয়ে আসার সময় পুলিশ চেরাগী পাহাড় মোড়ে মুক্তিযোদ্ধা-জনতার মিছিল আটকে দিলেও রহস্যজনক কারণে হুইপের অনুসারীদের প্রেস ক্লাবের ১০০ গজের মধ্যে জামালখান মোড়ে সমাবেশ করার সুযোগ করে দিয়েছে।  এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর