চট্টগ্রামে ৪টি মডেল মসজিদের যাত্রা শুরু

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
সারাদেশে একযোগে ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  এর মধ্যে ৪টি চট্টগ্রামে।  এগুলোর অবস্থান নগরের কল্পলোক আবাসিক এলাকা, মিরসরাই, লোহাগাড়া ও সন্দ্বীপে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকাল সোয়া ১১ টায় গণভবন থেকে একযোগে আধুনিক ও সুসজ্জিত এসব মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় মিরসরাই প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।  উপস্থিত ছিলেন মিরসরাই উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী নগরের বাকলিয়ায় একইসময় নামফলক উন্মোচন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন।
চট্টগ্রাম-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা সন্দ্বীপ প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন।
লোহাগাড়া উপজেলা কমপ্লেক্সে নির্মিত মডেল মসজিদ উদ্বোধন শেষে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মসজিদ কমপ্লেক্স আয়োজিত সুধী সমাবেশে সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি বলেন, মডেল মসজিদ শুধুমাত্র মসজিদই হবে না- একে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।  আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এসব মসজিদে নারী-পুরুষের জন্য আলাদা অজু এবং নামাজের ব্যবস্থা থাকবে।  মক্তব, গ্রন্থাগার, গবেষণা কক্ষ, কনফারেন্স রুম, ইমাম ও হাজীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে সেখানে।  মডেল মসিজদ থেকে জঙ্গিবাদ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করা হবে।  সেইসাথে মাদক, যৌতুক, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রচার করা হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৩৬ বর্গমিটার আয়তনের নির্মিতব্য এসব মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় অন্তত ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ কোটি টাকা।  এসব মসজিদে প্রতিদিন চার লাখ ৪০ হাজার ৪৪০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারীর নামাজ পড়ার সুবিধা থাকবে।  পবিত্র কোরআন হাদিসের জ্ঞান অর্জনের জন্য এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ৩৪ হাজার মানুষ লাইব্রেরিতে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন।
প্রতিদিন ৬ হাজার ৮০০ জন গবেষকের গবেষণার সুযোগ, ৫৬ হাজার মুসল্লির দ্বীনি দাওয়াতের কার্যক্রম পরিচালনা, প্রতিবছর ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর কোরআন হেফজ করার সুবিধা, প্রতিবছর ১৬ হাজার ৮০০ শিশুর প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন এবং ২ হাজার ২৪০ জন অতিথির আবাসনের সুযোগ থাকবে।  এছাড়া মসজিদের খতিব ও ইমামদের মাধ্যমে প্রতিবছর সন্ত্রাস ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর