সভা-সেমিনার আর উদ্বোধনে সময় কাটান চসিক মেয়র, কার্যক্রমে স্থবিরতা

বিশেষ প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
হঠাৎ করেই আলোচনায় আসেন নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।  নগরবাসীকে অবাক করে দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচিত হয়ে বসেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়রের চেয়ারে।  অথচ দুই বছর আগেও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অন্য নেতাদের মতোই ছিলেন নিরবে সরব।  দলীয় কাজ আর বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের ছোটখাটো অনুষ্ঠানগুলোতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আসতেন।  কিন্তু দাবানলের মতোই হঠাৎ জ্বলে ওঠেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকার টিকিট পেয়ে।  প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা, অপছন্দ হওয়ার পরও শুধুমাত্র দলের সিদ্ধান্ত- এই বিবেচনায় দলটির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা সর্বশক্তি আর সর্বস্ব উজার করে মেয়র হিসেবে তাকে উঠিয়ে এনেছিলেন।
নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ১০০ দিনের কর্মসূচিসহ বেশকিছু গরম গরম প্রতিজ্ঞা জানান দিয়েছিলেন নগরবাসীকে।  কিন্তু সেসব কর্মসূচি সফলতো হয়-ইনি, বরং চসিকের নানান কার্যক্রমে নেমে এসেছে স্থবিরতা।  নগরবাসীর চলমান নানান সমস্যা সমাধানের যে প্রতিজ্ঞা তিনি করেছিলেন, অল্পদিনেই সেই প্রতিজ্ঞাতে যেনো ভাটা পড়লো।  কার্যদিবসের অধিকাংশ সময় তিনি কাটান বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে সাক্ষাৎ দিয়ে, বিভিন্ন সভা-সেমিনার, মতবিনিময় করে আর বাণিজিক/সামাজিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন/অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে।
তাঁর এমন নেতিয়ে পড়াকে চিরাচরিত বলেই মনে করেন নগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী আর সচেতন নগরবাসী।  তাঁদের মতে, চট্টগ্রামে তরুণ কিংবা কর্মোদ্যোগী মেয়রের প্রয়োজন থাকলেও রেজাউল করিমের মতো একজন নেতাকে মেয়রের সীটে বসানোয় নগরসেবায় গতি হারিয়েছে।
নগরের ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইসমত আরা বলেন, আগের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বেশ তৎপর ছিলেন।  উদ্যোগ নিতেন।  বাস্তবায়ন করতেন।  তারও আগে বর্তমান মেয়রের প্রায় একই বয়সী এম মনজুর আলম মেয়র ছিলেন।  বিএনপির হলেও, সঠিকভাবে বরাদ্দ না পেলেও বেশ উদ্যোগী ছিলেন।  মানুষের সমস্যায় দৌড়ে গেছেন।  চট্টগ্রামতো ছোটকোনো নগর না।  অর্থনৈতিকভাবে দেশের হৃদপিন্ড।  এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কি বয়স কম ছিল?  তিনিও নগরের মানুষের জন্য তৎপর ছিলেন।  সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দৌড়েছেন বাস্তবায়নে। সর্বশেষ মাত্র ৬ মাসের জন্য প্রশাসক হন আরেক বয়স্ক রাজনীতিক খোরশেদ আলম সুজন। আমাদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ পোর্ট কানেক্টিং রোডের চিত্র পাল্টেছেন তিনি এসে।  মাত্র ৬ মাসে সুজন সাহেব যা করেছেন তার প্রশংসা করে তিনি বলেন, বর্তমান মেয়র যেভাবে নগরবাসীকে আশ্বস্থ করেছেন, সেভাবে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আগের মেয়রের সময়কালের উন্নয়ন কাজগুলো করছেন কাউন্সিলররা।
সরাইপাড়া ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলম বলেন, কিসের মেয়র, কিসের জনপ্রতিনিধি। চট্টগ্রামের জন্য প্রয়োজন ছিল তরুণ ও উদ্যোগী প্রতিনিধি। যাকে মেয়র করা হয়েছে গত ১ বছর হতে চললেও তার বিষয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে হতাশ। মশার যন্ত্রণা, সড়কের খানাখন্দ, ফুটপাত দখল, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বেহাল দশা- এতো সমস্যা থাকলেও ‍তাকে শুধু পত্রিকায় দেখা যায় উদ্বোধনে, মতবিনিময়ে। আমরা সংবাদপত্রের কল্যাণে দেখলাম- মানুষের হাটাচলার জন্য যে ফুটপাত সৃষ্টি করা হয়েছে সেখানেও তিনি দোকান বরাদ্দ দিয়েছেন। দালান উঠে গেছে। কি একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা। ১ বছরেই এই অবস্থা, বাকী ৪ বছরে নগরের কি পরিণতি হবে সেটাই ভাববার বিষয়। 

১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে আসা ব্যবসায়ী মো. শাহাজাহান বলেন, তাদেরকে বাড়তি টাকা না দিলে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছি না। ঊর্ধ্বতনকে জানালে বলে মেয়রকে জানান। মানে সিন্ডিকেটি কথা-বার্তা। কেউ কোনো জবাবদিহি করতে নারাজ। একজন সাধারণ নাগরিককি তার সমস্যা সমাধানে মেয়রের কাছে যাবেন? আসল কথা হচ্ছে প্রধান ঠিক না থাকলে সঙ্গীরাতো এমন করবেই। তাই হচ্ছে এখন সিটি কর্পোরেশনে।
আওয়ামী লীগেও অষন্তোষ্টি
মেয়র হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরেই চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোনো ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রমে উপস্থিত থাকেন না নগর আ’লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী। অভিযোগ ওঠেছে, দলের প্রয়াত নেতাদের স্মরণসভা কিংবা দলীয় সভা-সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকা থেকে এসে উপস্থিত থাকলেও গত দুমাসে দলীয় কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেননি রেজাউল।
এক সময়ের ত্যাগী ও দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় রেজাউলের দলীয় কার্যক্রমবিমুখ হওয়ার এমন ভূমিকায় বিস্মিত নগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরাও। বিষয়টিকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না কেউই। দলীয় মনোনয়নে মেয়র নির্বাচিত হওয়া রেজাউলের আকষ্মিক এই পরিবর্তন জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্নের।দায়িত্বশীল সিনিয়র নেতার এমন অরাজনৈতিক আচরণে ক্ষোভ জানিয়েছেন তৃণমূলকর্মীরাও।
অনেকে মনে করছেন, হঠাৎ করে (আলোচনার বাইরে থাকা) মেয়রের মনোনয়ন বা দায়িত্ব প্রাপ্তির জন্য তিনি (রেজাউল) প্রস্তুত ছিলেন না। যার কারণে শুধু দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমেই শুধু নয় মেয়রের দায়িত্ব পালনেও হিমিশিম খেতে হচ্ছে তাকে। আবার অনেকে মনে করছেন মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সিটি কর্পোরেশনের নানা কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে ইতোমধ্যে নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। জনসম্মুখে আসলে এসব বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারবেন না রেজাউল, তাই সভা-সমাবেশ এড়িয়ে চলছেন তিনি।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত গত ১০ নভেম্বর মহানগর আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ রশিদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভা, ৭ নভেম্বর গণতন্ত্র হত্যা দিবসের আলোচনা সভা, ৬ নভেম্বর, মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ইদরিস আলমের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভা, ৫ নভেম্বর সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘সম্প্রীতি সমাবেশ’, ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ আ’লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণ সভা এবং ৩ নভেম্বর জাতীয় জেল হত্যা দিবসের স্মরণসভা– কোনোটাতে দেখা যায়নি রেজাউলকে।
একইভাবে ৩ অক্টোবর চট্টগ্রাম শহর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি জাতীয় পরিষদের সাবেক সদস্য চৌধুরী এন জি মাহমুদ কামালের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভা এবং ১৯ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিনে নগর আ’লীগের আলোচনা সভায়ও যোগ দেননি মেয়র রেজাউল।
শুধু তাই নয়, ২৩ অক্টোবর ৩১ নং আলকরন ওয়ার্ডের ৪ বারের কাউন্সিলর, নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য তারেক সোলায়মান সেলিমের স্মরণসভায়ও ছিলেন না রেজাউল করিম চৌধুরী। অথচ কেন্দ্রীয় আ’লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সাংগঠনিক বাধ্যবাধকতা না থাকা সত্ত্বেও ওই স্মরণসভায় হাজির হয়েছেন। গত ৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আ. লীগের উদ্যোগে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সারের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায়ও উপস্থিত ছিলেন না মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। অথচ সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন আ’লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন (এমপি), আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ (এমপি), আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, দ. জেলা আ’লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আ’লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উত্তর জেলা আ’লীগ সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ ছালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি, নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি প্রমুখ।
ফেসবুকই রাজনীতি!
দলীয় সভা-সমাবেশে কিংবা নাগরিক সমস্যা সমাধানে তাকে দেখা না গেলেও নিজের ফেসবুক থেকে উল্লিখিত দিনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পোস্ট দিয়েছেন রেজাউল করিম চৌধুরী। এসব দিনের কোনোটিতে মেয়র কার্যালয়ে অলস সময় পার করে আবার কখনো বাণিজ্যিক অনুষ্ঠান উদ্বোধন করতেও দেখা গেছে তাকে। কিন্তু রাজনীতি-সচেতনদের প্রশ্ন–মাঠের রাজনীতিক রেজাউল করিম চৌধুরী কি তবে সব ছেড়েচুড়ে নিজের সীমাবদ্ধতা ঢাকতে শেষ পর্যন্ত ফেসবুক-নির্ভর রাজনীতিতে ঝুঁকে পড়েছেন?
নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, তিনি কেন দলের কর্মসূচি, সভা-সমাবেশে উপস্থিত হচ্ছেন না সেটা তিনি ভালো জানবেন। নগরবাসী নানান সমস্যায় জর্জরিত। মশার যন্ত্রণা, আবর্জনা অপসারণ ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়াসহ নানান সমস্যা নাগরিকেরা তুলে ধরছেন। কিন্তু তার কোনো অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে না। আমি মনে করি তিনি যত ব্যস্তই থাকুন না কেন, সময় সুযোগ করে দলীয় অনুষ্ঠানে তার উপস্থিত থাকা উচিত। কারণ তিনি দল করেন, দলের লোক, গুরুত্বপূর্ণ পদেও আছেন।
সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘সাংগঠনিকভাবে উনার (মেয়র রেজাউল করিম) একটা দলীয় পদ আছে। এবং উনি দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থী ছিলেন। ভুলে গেলে চলবে না, উনার নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে দলের বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ফলেই কিন্তু তিনি মেয়র হতে পেরেছেন। সে হিসেবে দলের প্রতি উনার অবশ্যই দায়বদ্ধতা আছে। এখন তিনি কেন দলীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন না সেটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন’।
সর্বশেষ নগর আ’লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত হয়ে বর্তমানি কমিটিকে অবৈধ আখ্যায়িত করে কোনো কিছু করার এখতিয়ার নেই মন্তব্য করে নতুন আলোচনারর জন্ম দিয়েছেন তিনি। তোপের মুখে পড়েছেন নেতা-কর্মীদেরও। শুধু নগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নয়, মেয়র রেজাউলের এমন কর্মকাণ্ড গড়িয়েছে দলী হাইকমান্ড পর্যন্ত। বেফাস মন্তব্যের জন্য শীঘ্রই জবাবদিহিতার মুখে পড়তে হবে তাকে (রেজাউল)। পাশাপাশি দলীয় সভাসমাবেশে না থাকার কারণও জানতে হবে তাকে-এমনটাই আভাস দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে আমাদের সবাইকে ঐকবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দলটা আসলে ডেকে করার বিষয় না। দল করতে আন্তরিকতার প্রয়োজন। রাজনীতি করতে গেলে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে হবে। তিনি সিটি মেয়র, তার ব্যস্ততা থাকাটা স্বাভাবিক। তবে উনাকেও মনে রাখতে হবে উনি দলের মনোনীত মেয়র। দলের মধ্যে এধরনের কিছু গ্যাপ আছে। আমি সকলের সাথে কথা বলে এসব গ্যাপ পূরণ করার চেষ্টা করছি’।
এসব বিষয়ে কথা বলতে চাইলেও তার সিডিউল না পাওয়ায় এবং ফোনে সংযুক্ত হতে না পারায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

ডিসি/এসআইকে/সিসি