‘চট্টগ্রামে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখবে ব্রিটিশ সরকার’

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
বাংলাদেশে নিযুক্ত বৃটিশ হাই কমিশনার রর্বাট চ্যাটার্টন বলেছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে জন্য চলমান কার্যক্রম সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।  এধরণের কর্মসূচির ফলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়ন ঘটছে।  চলমান এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্রিটিশ সরকারের সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে।  বিশেষত জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণে কমিউনিটি ও স্থানীয় সরকার একসাথে কাজ করার বিষয়টি অন্যদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।  সারাবিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের বিষয়টি বাংলাদেশও এড়িয়ে যেতে পারে না।  তাই এই ধরণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন সময়োপযোগী পদক্ষেপ।  বাংলাদেশ সরকার এবং ইউএনডিপি একসাথে কাজ করায় যুক্তরাজ্য সরকারও গর্বিত।  তিনি ব্রিটিশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর সময় শেষ হয়ে গেলেও পরবর্তীতে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে মেয়রের প্রতি আহবান জানান।  বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরীর মেয়র হিসেবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে যে সহযোগিতা করেছেন এজন্য তিনি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।  ভবিষ্যতেও সব ধরণের সহায়তা অব্যাহত রাখার দৃঢ়তা ব্যক্ত করেন তিনি।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) পরিচালিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন (এলআইইউপিসি) প্রকল্পের অধীনে জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে বিকেলে টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী নগর ভবনে চসিকের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় জাতীয় প্রকল্পের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) মো. মাসুম পাটওয়ারী, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, ক্লাইমেট চেইঞ্জ টিম লিডার জন ওয়ার বার্টন, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফারজানা মুস্তাফা, প্রকল্প ব্যবস্থাপক য্যুগেশ প্রাধানাং ও টাউন ম্যানেজার মো. সরোয়ার হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ইউএনডিপি আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে শহরে স্থানান্তরিত মানুষগুলো নিজেদের জীবনমান উন্নয়নে যে উদ্যোগগুলো গ্রহণ করেছে তা প্রশংসার দাবি রাখে।  তিনি নগর দরিদ্র মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে মেয়র হিসেবে যে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেছেন এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান চসিকের মেয়রকে।
জাতীয় প্রকল্পের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) মো. মাসুম পাটওয়ারী বলেন, উন্নয়ন সহযোগি বৃটিশ সরকার ও ইউএনডিপি যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তাতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী অনেক উপকৃত হচ্ছে এবং বর্তমান সরকার ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, তা সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
সংবাদ সম্মেলনে চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে এলআইইউপিসি’র উদ্যোগে নগরীতে জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামোগত উন্নয়নে যে প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হচ্ছে তাতে আমি খুশি।  এসব প্রকল্পে চসিকের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।  তিনি মেয়াদকাল শেষ হলেও এধরণের জনবান্ধব প্রকল্পসমূহ চলমান রাখবেন বলে উল্লেখ করেন।  সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, বৃটিশ সরকারের সহযোগিতায় ইউএনডিপির মাধ্যমে বাস্তবায়িত এই প্রকল্পে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নিজস্ব তহবিল থেকেও ১০ শতাংশ ব্যয় করেছে।  তিনি বৃটিশ হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ব্রিটিশ সরকারের সাথে সবসময় বাংলাদেশ সরকারের একটি সুসম্পর্ক ছিলো, আছে।  ভবিষ্যতেও এই সুসম্পর্ক জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মেয়র জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এলআইইউপিসির প্রকল্পসমূহ কতটুকু সময়োপযোগি তা স্বচক্ষে অনুধাবণ করেছেন বলে উল্লেখ করেন।  এজন্য তিনি ব্রিটিশ সরকার ও ইউএনডিপির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ডিসি/এসআইকে/আরসি