কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র নিয়েও ক্ষমতাসীনরা অসত্য তথ্য দিচ্ছে : আমির খসরু

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
ইতিহাস বিকৃতি থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য সত্যিকার ইতিহাস তুলে ধরতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।  শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী জাতীয় কমিটির উদ্যোগে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী জাতীয় কমিটির উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন কর্মসূচি সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দ‌ক্ষিণ জেলার যৌথ উ‌দ্যো‌গে এই প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন মাইলফলক উন্মোচন করার জন্য ২৭ মার্চ সভা করছি।  বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা অনেক আলাপ-আলোচনা করে এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন।  কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমান মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।  কিন্তু জোর করে ক্ষমতা দখল করা আওয়ামী লীগ আর তাদের দোসররা সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে ইতিহাস বিকৃতি ঘটানোর জন্য।  জাতির ক্রান্তিকালে ইতিহাস বিকৃতি থেকে মুক্ত করার জন্য আমাদের এই কর্মসূচি।  যেহেতু মার্চ আমাদের স্বাধীনতার মাস, সেহেতু এই মাসে শহীদ জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে হবে।  একটি দল যখন আত্মসমর্পণ করেছে, সেখানে শহীদ জিয়ার আবির্ভাব ঘটেছে, তিনি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার যে কাজটা সেই দিন করেছিলেন সেটা জাতিকে জানাতে হবে।  কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যে আশা-আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো সেগুলো এই সরকার ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।  তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।  যদি সত্য ঘটনাগুলো সামনে আসে তাহলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থাকে না।  আজকে যদি মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনা নিয়ে বইয়ে লেখা হয়, তাহলে তারা যে মিথ্যাচার করছে, তা ধরা পড়ে যাবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন এর সভাপতিত্বে ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ হারুনের সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন।
বি‌শেষ অ‌তিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সা‌বেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য স‌চিব মোস্তাক আহমদ খান প্রমুখ।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর