চট্টগ্রামে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালিত

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক এস এম এনামুল হক বলেছেন, ‘সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম বন্ধের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।  সে লক্ষ্যে সরকার ২৮৪ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে যা এখন বাস্তবায়নাধীন।  এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১ লক্ষ সুবিধাবঞ্চিত শিশু শিক্ষার সুযোগ পাওয়ার পাশাপাশি কারিগরি প্রশিক্ষণের আওতায় আসছে।  এর সুফল পেতে সরকারের পাশাপাশি সকল বেসরকারি উন্নয়ন সহযাত্রীদেরও এক সাথে কাজ করতে হবে।  তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা বাধায় আটকে যেতে চাই না, এগিয়ে যেতে চাই সবাইকে সাথে নিয়ে’।
রবিবার (১২ জুন) বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালন উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর আয়োজিত ‘সামাজিক সুরক্ষা ও শিশু কল্যাণ নিশ্চিত করি; শিশুশ্রম বন্ধ করি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ১৯৯২ সালে প্রথম বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।  সেই অনুযায়ী ২০০২ সাল থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত শ্রম অধিদপ্তর ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর কর্ণফুলী আরবান প্রোগ্রাম এই কর্মসূচিতে সহযোগিতা করে।  রবিবার সকাল ১০ টায় বেলুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক এসএম এনামুল হক।  এরপর আয়োজিত র‌্যালিটি আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিকের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে শ্রম দপ্তরের নিজস্ব মিলনায়নে গিয়ে শেষ হয়।
ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্ণফুলী আরবান প্রোগ্রামের টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর শ্যামল ফ্রান্সিস রোজারিও’র সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাকিব মুবাররাত।  এতে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার মধ্যে ইপসা, ঘাসফুল, দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম, ভোরের আলোসহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি, শিশু শ্রমিক, কলকারখানার মালিক-প্রতিনিধি, জাতীয় শ্রমিক লীগ শিল্পাঞ্চল শাখার সভাপতি শফি বাঙালীসহ সাংবাদিক প্রতিনিধিবৃন্দ ও পরিদর্শকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের সুচিন্তিত মতামত প্রদান করেন।
এতে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন জুনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন আক্তার ও স্পন্সরশীপ ও সিস্টেম সাপোর্ট অফিসার অর্ণা কথা রায়।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর