এবার এএসপি পরিচয়ে বিয়ে-অর্থ আত্মসাতে চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতা!

ছাত্রলীগ নেতা আকিবুল ইসলাম।

নিজস্ব প্রতিবেদক

এবার মিথ্যা পরিচয়ে দুই সন্তানের জননী এক নারীকে বিয়ে এবং তার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন এক চট্টগ্রামের পদবীধারী ছাত্রলীগ নেতা। সহকারী পুলিশ সুপার পরিচয় দেয়া ছাত্রলীগের এই প্রতারক নেতার নাম আকিবুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) বাকলিয়া থেকে আকিবকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, ‘ফেসবুকের ভুয়া আইডি ব্যবহার করে এএসপি পরিচয়ে এক নারীকে বিয়ে ও প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে আকিবের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে’।

দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম বোরহান উদ্দিন জানান, সাংগঠনিক সম্পাদক আকিবকে গ্রেফতারের খবর আমরা শুনেছি। বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানোর পর তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আকিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আকিবুল ইসলাম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি ছাড়াও তাহসান খান প্রিজন নামের আরেকটি ফেসবুক আইডি চালান। সেই আইডিতে আকিব নিজেকে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পরিচয় দিয়ে দুই সন্তানের জননী ওই নারীর সাথে পরিচিত হন। ওই নারীর সাথে তার স্বামীর দাম্পত্য কলহের বিষয়টি আকিব জানতে পারেন। গত ৩ জুলাই ওই নারীর ডিভোর্সের পর আকিব বিভিন্ন সময়ে তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ান এবং অন্তরঙ্গ ছবি তোলেন। এরপর গত ৭ আগস্ট আকিব ওই নারীকে বিয়ে করে বিভিন্ন হোটেলে এবং বাকলিয়া রাহাত্তার পুল এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অবস্থান করেন।

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, আকিব চাকরিতে সমস্যার কথা বলে তার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ধার নিয়েও পরিশোধ করেননি। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা নিয়ে মোবাইল ফোন, তিন লাখ টাকায় মোটর সাইকেল কেনা ছাড়াও অন্তত ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আকিব। আকিবের সাথে আরও অনেক নারীর সম্পর্ক থাকার বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগী এই নারী আকিবরে কাছে জানতে চান। এরপর থেকেই আকিব তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে খোঁজ নিয়ে এই নারী জানতে পারেন আকিব কোনো পুলিশ কর্মকর্তা নন। তিনি বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। গত ২৫ ডিসেম্বর ভাড়া বাসায় গিয়ে আকিব ওই নারীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। উপায়ান্তর না দেখে তিনি লিখিত অভিযোগ করেন যা পরবর্তীতে মামলায় রূপান্তরিত হয়।

 

ডিসি/এসআইকে/সাজাপ্র