প্রয়াত আতিকুর রহমান-তপন দাশ বর্মণের শোক সভা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে

দৈনিক চট্টগ্রাম ডেস্ক >>>
প্রবীণ সাংবাদিক চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ এসএম আতিকুর রহমান ও প্রবীণ সাংবাদিক তপন দাশ বর্মণের শোকসভার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব।
সভায় সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, সাংবাদিকরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে বরাবরই সমাজের কল্যাণে কাজ করেন। আজ যাঁদের মৃত্যুতে শোকসভা আয়োজন করা হয়েছে, তাঁরাও সারাজীবন সাংবাদিকতা পেশা ও দায়িত্বের প্রতি অনুগত থেকে পেশার মান অক্ষুণ্ণ রেখেছেন। তাঁদের মৃত্যুতে শূন্যতা সৃষ্টি হলেও তাঁরা থাকবেন আমাদের হৃদয়ে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের পিএইচপি ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস। যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী।
আলী আব্বাস বলেন, বিবেকের তাড়নায় আমরা বরাবরই চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সহকর্মী যাঁরা আমাদের ছেড়ে চলে যান, তাঁদের আত্মার শান্তি কামনায় শোকসভার আয়োজন করে থাকি। এবারও আমরা আমাদের দুই প্রিয় সহকর্মী প্রবীণ সাংবাদিক এসএম আতিকুর রহমান এবং তপন দাশ বর্মণের শোকসভা আয়োজন করেছি। আজ যাঁদের উদ্দেশে শোকসভা, তাঁরা স্ব স্ব ক্ষেত্রে আলোকিত মানুষ ছিলেন। বলতে গেলে তাঁদের অবদান শেষ করা যাবে না।
স্মৃতিচারণ করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি শহীদ উল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, তপন দাশবর্মণের সহধর্মিণী সাংবাদিক সুচন্দা নন্দী এবং এসএম আতিকুর রহমানের বড় ছেলে এসএম মুহিবুর রহমান।
সভার শুরুতে প্রয়াত সব সাংবাদিকের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। সভায় এসএম আতিকুর রহমানের পরিবারকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের মৃত্যুকালীন অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী।
সভায় প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি স ম ইব্রাহীম, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদক হাউজিং সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যান মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, গ্রন্থাগার সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, কার্যকরী সদস্য দেবদুলাল ভৌমিক, মনজুর কাদের মনজু, দৈনিক নয়াবাংলার সম্পাদক জেডএম এনায়েত উল্লাহ, প্রবীণ সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক দেবপ্রসাদ দাস দেবু, সাইফুদ্দিন মো. খালেদ, মাহবুব উর রহমান, প্রভাত বড়ুয়া, রণজিত কুমার দে, প্রদীপ নন্দী, ই পারভেজ ফারুকী, মো. শহীদুল ইসলাম, কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ ফারুক, আফজল রহিম সিদ্দিকী, খোরশেদুল আলম শামীম, কামাল উদ্দিন খোকন, নিরূপম দাশগুপ্ত, সাইদুল আজাদ, মুজাহিদুল ইসলাম, আবুল কালাম বেলাল, আল রাহমান, রাজেশ চক্রবর্তী, নিপুল কুমার দে, সোহেল সরওয়ার, রাহুল দাশ নয়ন, সুবল বড়ুয়া এবং এসএম আতিকুর রহমানের ছেলে এসএম মুশফিকুর রহমান, মেয়ে ইশরাত রহমান, জামাতা শফিকুর রহমান ও বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাজাহান প্রমুখ।

ডিসি/এসআইকে/আরএআর