পূজা অর্চ্চনার জন্য স্থায়ী আধুনিক মন্দির নির্মাণ করা হবে : ফজলে করিম এমপি

এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তির >>>
রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতার ৪৯ বছর পদার্পণ করলেও বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি মন্দির নির্মাণ না হওয়াটা অত্যন্ত দুঃখ ও হতাশাজনক। রেলওয়ের হাজার হাজার একর জমি দখল করে একটি চক্র কোটি কোটি টাকা মালিক বনে গেছে। ঐ সকল অবৈধ দখলে থাকা রেল সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য উচ্ছেদ অভিযান চলছে এবং চলবে। বিগত দিনে রেলওয়ে সিআরবি এলাকায় দিনে-দুপুরেও জনসাধারণ ভয়ে আসতো না। আর বর্তমান সময়ে রাতের বেলায়ও অনেক দর্শণার্থী সিআরবির শিরিষতলা এলাকায় প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে সময় কাটাচ্ছে। আগামিতে ঐতিহাসিক ৭ রাস্তার মোড়ে প্রায় ৪০ ফুট উঁচু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি সিআরবি এলাকার উন্নয়নে আরো ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ রেলওয়ে পূজা উদ্যাপন ও কল্যাণ পরিষদের পূজা অর্চ্চনা করার জন্য স্থায়ী আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত মন্দির নির্মাণ করা হবে। আমি নেতৃবৃন্দকে মন্দিরের স্থান নির্বাচন করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

বক্তব্য রাখেন এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ডস্থ রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে সার্বজনীন বাণী অর্চ্চনা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সংগঠনের সভাপতি বাবুল কান্তি চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রামের (সিএসটিই/পূর্ব) অসীম কুমার তালুকদার, বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রামের ডিআরএম সাদেকুর রহমান, অতিরিক্ত সিওপিএস/পূর্ব সুজিত কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ রেলওয়ে দোহাহাজারী-কক্সবাজার (প্রকল্প) সেতু বিভাগের উপ-পরিচালক তরুণ কান্তি বালা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অরুণ চন্দ্র দাশ, প্রাক্তন সভাপতি ধীলন কান্তি ধর, সংগঠনের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক অরুণ ভদ্র, মাদব চন্দ্র মল্লিক, শান্তনু দাশ, যদু গোপাল নাথ, পংকজ মন্ডল, রবীন্দ চন্দ্র দাশ, তাপস চন্দ্র দে প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে গীতা পাঠ করেন মিহির কুমার সরকার। অনুষ্ঠানে পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় মেধাবি কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে ‘নৈবেদ্য’ নামের একটি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে রেল অঙ্গনের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শংকর দে, কৃষ্ণসখা ভট্টাচার্য্য, আসীম কুমার দত্ত, সত্যজিত দাশ, মো. হোসেন, বর্ণালী বালা, তপন চন্দ্র ধর, রিয়া সেনগুপ্ত, প্রিয়াংকা নাহা, পৃথ্বী সাহা, অর্পা চৌধুরী, দিবাকর বালা (বর্ণা), শিবু প্রসাদ কানুনগোয়, রূপা দাশ, প্রদীপ দাশ, সৈয়দা হুজ্জাতুন নুর, সৈয়দ হাসান মেগদাম।

ডিসি/এসআইকে/এসজেপি