তামাক বিক্রয় নিষিদ্ধ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি!

নগরীর বিকেটিটিসি’র সামনের ফুটপাতে চায়ের দোকানে বিক্রি হচ্ছে তামাকজাত দ্রব্য।

মো. ইমতিয়াজ আহমেদ, নগর প্রতিবেদক >>>
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর তামাকজাত পণ্য ব্যবহার বন্ধসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ও আশেপাশে বিক্রি, প্রদর্শন ও বিজ্ঞাপন প্রচারণা বন্ধের আদেশ জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতোমেধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তামাকমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গড়তে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করার।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে সিগারেট ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তামাক ও মাদকদ্রব্য থেকে মুক্ত করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানের পাশে ধুমপান ও তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার, বিক্রি, প্রদর্শন ও বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আদেশের পর গত ৮ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়।
কিন্তু সব আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে দেদারসে তামাকজাত পণ্যের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে খোদ নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনেই। নগরীর বিকেটিটিসি’র সামনেই অবৈধ ফুটপাত দখল করে দোকান নির্মাণ করে সেখানে চায়ের দোকানের পাশাপাশি তামাক দ্রব্য বিক্রি হচ্ছে বিনা দ্বিধায়। সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপণের তোয়াক্কাতো করছেই না, উল্টো এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এই বিষয়ে কোনোপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কনজ্যুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর দায়িত্বশীল নেতৃবন্দ জানান, সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করার পরও এই ধরণের গাফিলতি সহ্য করা যায় না। কারণ এই বিষয়টা অনেকটা জনগুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। সুস্থ, সুন্দর ও মেধাবী জাতি গঠন করতে হলে আমাদের এখন থেকে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্বান্তসহ কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় জাতি হিসেবে আমরা অনেক পিছিয়ে পড়ব। তারা জানান, এই জন্য মাননীয় জেলা প্রশাসক, মেয়রসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আইন করে নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধ ও জেল-জরিমানার বিধান প্রণয়ন করতে হবে।

ডিসি/এসআইকে/এমআইএ