উত্তর কাট্টলী-উত্তর পাহাড়তলীতে ডা. শাহাদাতের গণসংযোগ : ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা

এস এম রিফাত, থানা প্রতিনিধি >>>
আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে পাশাপাশি হাজার বছরের ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এলাকা চট্টগ্রাম। এখানে ঐতিহাসিক ও পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনে ভরপুর। পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভবনার জায়গা এ চট্টগ্রাম। এখানে রয়েছে ইতিহাসের নানান গুরুত্বপূর্ণ স্মারক ও দীর্ঘসমুদ্র সৈকত, পাহাড়-পর্বত-লেকসমৃদ্ধ ফয়’স লেকসহ অসংখ্য পর্যটন স্পট। বিএনপির আমলে ফয়’স লেক ও চিড়িয়াখানাকে আধুনিকায়ন করা হলেও পরবর্তিতে পর্যটন শিল্পের বিকাশে সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ না থাকায় এ শিল্পকে জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ করা যায়নি। এ খাতের বিকাশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে চট্টগ্রাম পর্যটকদের স্বর্গভূমি হতো। পর্যটন শিল্পকে জাতীয় আয়ের প্রধান খাত হিসেবে গ্রহণ করা সম্ভব হতো। তিনি বলেন, বাস্তবিক অর্থে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ধানের শীষের গণজোয়ার চলছে। আর এটি বুঝতে পেরে রাতের অবৈধ সরকার জোর করে ভোট ছিনিয়ে নিচ্ছে। ডিজিটাল চুরির মহোৎসব চালাচ্ছে। তাই যারা ভোটার আছেন তারা সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রামের স্বার্থে ভোট কেন্দ্রে যাবেন, নিজের ভোট নিজে দেবেন। আপনার ভোট অন্য কেউ দিতে চাইলে প্রতিবাদ করুন। বিএনপি ও তার নেতা-কর্মীরা আপনাদের পাশে থাকবে। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামকে নিরাপদ পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
তিনি সোমবার (১৬ মার্চ) চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলী ও উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ধানের শীষ প্রতীকের গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন। সকাল থেকে তিনি বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিয়ে ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলীর ফয়’স লেকস্থ নূরিয়া মাদ্রাসার সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে তিনি আকবর শাহ, শহীদ লেইন, দুলালাবাদ, সিডিএ মার্কেট, নোয়াপাড়া, আব্দুল আলী নগর, পশ্চিম ফিরোজশাহ, মালিপাড়া, পূর্ব ফিরোজশাহ, বিশ^কলোনী, জানারখীল রেল লাইন চত্বর এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে গণসংযোগ করেন। পরে দুপুরে উত্তর কাট্টলীর কর্ণেলহাট, কর্ণেল জোন্স সড়ক, কমিউনিটি সেন্টার মোড়, বিশ্বাসপাড়া, তৎসংলগ্ন মাদ্রাসা মোড়, কালি বাড়ি, ঈশান মহাজন সড়ক, সিটি গেইট, নিউ মুনছুরাবাদে ধানের শীষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন।
গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রিয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ ভিপি, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি কমান্ডার শাহাবুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, বিএনপি নেতা ইসহাক কাদের চৌধুরী, সফিকুর রহমান স্বপন, নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিল প্রার্থী ও নগর বিএনপির সহ-সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম দুলাল (ঘুড়ি প্রতীক)), যুব বিষয়ক সম্পাদক আব্বাস রশীদ, কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক নূরুল আকবর কাজল, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও আকবরশাহ থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার সেলিম (লাটিম প্রতীক), সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাইনু, নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী, ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রফিক উদ্দিন চৌধুরী (ঘুড়ি প্রতীক), সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ছকিনা বেগম (মোবাইল ফোন প্রতীক), নগর যুবদল নেতা কাজী সালাউদ্দিন, বিএনপি নেতা হাছান চৌধুরী, সামশুল আলম সেক্রেটারী, শ ম জামাল, রেহান উদ্দিন প্রধান, আরিফ মেহেদী, উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জমির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চৌধুরী, উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম চৌধুরী, নগর যুবদলের সহ-সভাপতি শাহেদ আকবর, যুবদল নেতা গিয়াস উদ্দিন টুনু, দিদারুল ফেরদৌস, হাবিবুর রহমান মাসুম, শহীদুল্লাহ বাহার, মো. সেলিম উদ্দিন, রহিম উদ্দিন, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোজাহেরুল আলম চৌধুরী, মো. আলাউদ্দিন, মাসুম চৌধুরী, নুর বক্স মিলন, নুর চৌধুরী, হেলাল হোসেন, হারুনুর রশীদ, মেজবাহ উদ্দিন, হায়াত রশীদ, মো. তৌহিদ, মো. সোলেয়মান প্রমুখ।

ডিসি/এসআইকে/এসএমআর