মিরসরাই সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ

মিরসরাই প্রতিনিধি >>>
মিরসরাই সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিঃ নং ২৪১১) নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪ টায় শেষ হয়। উপজেলার হিঙ্গলীতে অবস্থিত সংগঠনের কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। ১০টি পদের বিপরীতে ৩৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ১২০১ জন ভোটার রয়েছেন সংগঠনটিতে।
নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন একাধিক প্রার্থী। এদিকে নির্বাচনের বিষয়ে কিছুই জানে না চট্টগ্রাম শ্রম দপ্তর। দপ্তরের অনুমতি নিয়ে নির্বাচন করার কথা থাকলেও সংস্থাকে অবহিত না করে ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন করা হয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, ১৯৯৫ সালের ৯ জুলাই বারইয়ারহাট-করেরহাট রুটে চলাচল করা বেবি টেক্সি ও সিএনজি চালকদের সংগঠন মিরসরাই বেবি টেক্সি সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের যাত্রা শুরু হয়।
সরেজমিনে শনিবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে, সংগঠনের ছোট কার্যালয়ে গাদাগাদি করে ভোট গ্রহন চলছে। তখন ৬০১ ভোট পড়েছিল। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট বসার জায়গাও নেই। কিছুক্ষণ পরপর হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা কয়েক কর্মকর্তাকে ভোটারদের কয়েকজন প্রার্থীর পক্ষে প্রভাবিত করতে দেখা গেছে।
নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে মো. নুর নবী, মো. সামছুল হক, মো. মোস্তফা, মো. জাহেদ হোসেন, সহ-সভাপতি পদে মো. মাবুল হক, মো. ইউনুছ, মো. মাঈন উদ্দিন রাসেল, মো. ছিদ্দিক আহম্মদ খান, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. মহিউদ্দিন ভূঁইয়া, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. আবুল কাশেম, মো. আবদুল হামিদ রিপন, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. কামাল উদ্দিন, মো. নুরুল আমিন, মো. সামছুদ্দিন, মো. আইনুল কবির, মো. জাগির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. আলতাফ হোসেন লিটন, মো. সামছুল হক, মো. শেখ ফরিদ, মো. হুমায়ুন কবির সুমন, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. আলাউদ্দিন, মো. নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ জহির, দপ্তর সম্পাদক পদে মো. মহি উদ্দিন, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. হোসেন, প্রচার সম্পাদক পদে মো. তাজ উদ্দিন সেলিম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. সাইফুল ইসলাম পারভেজ, লাইন সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন বলি, মো. নিজাম উদ্দিন, মো. জাহাঙ্গীর আলম।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ইফতেখার উদ্দিন পিন্টু ও সচিবের দায়িত্ব পালন করেন সাবেক সভাপতি নুরুল করিম ভূঁইয়া।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. আব্দুল হামিদ রিপন অভিযোগ করেন, ভোট গ্রহণে অনেক অনিয়ম হচ্ছে। মৃত ভোটারদের ভোটও দিয়েছে অনেকে। অনেকে ভোটার না হয়েও ভোট প্রদান করেছে। কিন্তু নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী জাগির হোসেন অভিযোগ করেন, ভোটে কোনো নিয়ম-শৃঙ্খলা নেই। অনেকে লাইনে না দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন। অনেক আগে এসে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁিড়য়ে রয়েছেন অনেকে।
ভোট দিতে আসা নিজাম উদ্দিন, মঞ্জু, শাহজাহান বলেন, ছোট একটি কক্ষে ভোট দিতে ভোটারদের অনেক কষ্ট হয়েছে। পাশে অবস্থিত মাদ্রাসা ও অথবা বারইয়ারহাট কিংবা করেরহাটে কোনো স্কুলে ভোট কেন্দ্র হলে ভালো হতো।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুুস সাব্বির ভূঁইয়া জানান, মিরসরাইয়ে কোনো শ্রমিক সংগঠনের নির্বাচন হচ্ছে- তা আমাদের জানা নেই। আমাদের নির্বাচনের বিষয়ে অবগত করা হয়নি। আমাদের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে নির্বাচন হওয়া অর্থাৎ ভোট গ্রহণের নিয়ম রয়েছে।
এই বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইফতেখার উদ্দিন পিন্টু বলেন, অত্যন্ত উৎসবমূখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোটারদের কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রভাবিত করার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

ডিসি/এসআইকে/এসএএইচ