সিইউজে’র প্রতিবাদ : দৈনিক আজাদী, পূর্বকোণ ও পূর্বদেশ পত্রিকায় ‘মাননীয় তথ্যমন্ত্রী সমীপে’ শিরোনামে প্রকাশিত বক্তব্য বিভ্রান্তিকর’

নগর প্রতিবেদক, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী, পূর্বকোণ ও পূর্বদেশ পত্রিকায় ৭ জুলাই ২০২০ তারিখে স্ব স্ব কর্তৃপক্ষের বরাতে অভিন্নভাবে যে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রকাশ করেছে তার প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)।  বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ করোনাকালীন এই মহাদুর্যোগে অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে কর্মরত সাংবাদিক-কর্মচারীদের প্রতি মানবিক আচরণ করার জন্য পত্রিকা কর্র্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেন, কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে এসব পত্রিকায় নির্ধারিত সময়ে বোনাসসহ বেতন ভাতা পরিশোধের যে দাবি করা হয়েছে তা পুরোপুরি সঠিক নয়।  এ বিষয়ে সিইউজে’র বক্তব্য হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে এসব পত্রিকায় সাংবাদিক-কর্মচারীদের অষ্টম ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।  কোনো কোনো পত্রিকা আংশিক ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট অংশ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা প্রতিপালন করেনি।  নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ কমিটি ঘোষিত ৪৫% মহার্ঘভাতা থেকেও সাংবাদিক-কর্মচারীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।  এমনকি নিয়মিত ইনক্রিমেন্টও দেয়া হচ্ছে না এসব পত্রিকায়।  কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে বোনাস ও বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি করা হলেও প্রকৃত সত্য হচ্ছে- গত ঈদ-উল ফিতরের পূর্ণ বোনাসও আজাদী, পূর্বকোণ ও পূর্বদেশ কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক-কর্মচারীদের প্রদান করেনি।
দৈনিক আজাদীতে ২০১৫ সালের ২৫ মে সিইউজের সঙ্গে অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের চুক্তি স্বাক্ষর করে কর্তৃপক্ষ।  ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী প্রতি বছর ইনক্রিমেন্ট হবার কথা থাকলেও চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে এখনো পর্যন্ত পত্রিকাটিতে মাত্র একটি ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয়েছে।  চুক্তি স্বাক্ষরের সময় কর্তৃপক্ষ ওয়েজ বোর্ড থেকে বাদ পড়া সাংবাদিকদের পরবর্তীতে ওয়েজ বোর্ডের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা আর বাস্তবায়ন হয়নি।  সরকার কর্তৃক গঠিত নবম ওয়েজ বোর্ড কমিটি সাংবাদিক-কর্মচারীদের জন্য ৪৫% মহার্ঘভাতা ঘোষণা করলেও আজাদী কর্তৃপক্ষ মহার্ঘভাতা প্রদান করেনি।  সাংবাদিক-কর্মচারীদের বৈশাখী ভাতা প্রদানের জন্য চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আজাদী কর্তৃপক্ষকে বারবার চিঠি দেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।  বিগত ঈদ-উল ফিতরের পূর্বে পত্রিকাটিতে কর্মরতদের পূর্ণ বোনাস প্রদান করা হয়নি।  পত্রিকাটিতে নৈশ পালায় দায়িত্ব পালনকারী সাংবাদিকদের যাতায়াতের জন্য পরিবহনের কোনো ব্যবস্থা করেনি আজাদী কর্তৃপক্ষ।  এমনকি করোনা মহামারির এই দুঃসময়েও গভীর রাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকদের অফিসে যাতায়াত করতে হচ্ছে, যা অত্যন্ত অমানবিক।
দৈনিক পূর্বকোণে ২০১৫ সালের ৭ মে সিইউজের সঙ্গে অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের চুক্তি স্বাক্ষর করে কর্তৃপক্ষ।  চুক্তি স্বাক্ষরের সময় কর্তৃপক্ষ ওয়েজ বোর্ড থেকে বাদ পড়া সাংবাদিকদের পরবর্তীতে ওয়েজ বোর্ডের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা আর বাস্তবায়ন হয়নি।  পত্রিকাটিতে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে সাংবাদিকদের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয়।  কিন্তু চলতি বছর নির্দিষ্ট সময়ের ৫ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ইনক্রিমেন্ট প্রদান করা হয়নি।  বরং ওয়েজ বোর্ডের বাইরে থাকা সাংবাদিকদের পরবর্তীতে নিয়মবহির্ভূতভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।  পত্রিকাটিতে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের এ প্রবণতা অতীতেও দেখা গেছে।  সরকার কর্তৃক গঠিত নবম ওয়েজ বোর্ড কমিটি সাংবাদিক-কর্মচারীদের জন্য ৪৫% মহার্ঘভাতা ঘোষণা করলেও পূর্বকোণ কর্তৃপক্ষ মহার্ঘভাতা প্রদান করেনি।  সাংবাদিক-কর্মচারীদের বৈশাখী ভাতা প্রদানের জন্য চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পূর্বকোণ কর্তৃপক্ষকে বারবার চিঠি দেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।  বিগত ঈদ-উল ফিতরের পূর্বে পত্রিকাটিতে কর্মরতদের পূর্ণ বোনাস প্রদান করা হয়নি।
দৈনিক পূর্বদেশ-এ ২০১৬ সালের ৬ মার্চ সিইউজে’র সঙ্গে অষ্টম ওয়েজ বোর্ডের ৬০% প্রদানের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে কর্তৃপক্ষ।  পরবর্তীতে মাত্র ২০% বাস্তবায়ন করলেও অদ্যাবধি ৮ম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করেনি।  ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী প্রতি বছর ইনক্রিমেন্ট হবার কথা থাকলেও চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে অদ্যাবধি পত্রিকাটিতে কোনো ইনক্রিমেন্ট প্রদান করা হয়নি।  চুক্তি স্বাক্ষরের সময় কর্তৃপক্ষ ওয়েজ বোর্ড থেকে বাদ পড়া সাংবাদিকদের পরবর্তীতে ওয়েজ বোর্ডের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা আর বাস্তবায়ন হয়নি।  সরকার কর্তৃক গঠিত নবম ওয়েজ বোর্ড কমিটি সাংবাদিক-কর্মচারীদের জন্য ৪৫% মহার্ঘভাতা ঘোষণা করলেও পূর্বদেশ কর্তৃপক্ষ মহার্ঘভাতা প্রদান করেনি।  সাংবাদিক-কর্মচারীদের বৈশাখী ভাতা প্রদানের জন্য চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষকে বারবার চিঠি দেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।  বিগত ঈদ-উল ফিতরের পূর্বে পত্রিকাটিতে কর্মরতদের পূর্ণ বোনাস প্রদান করা হয়নি।
করোনা মহামারির এই দুঃসময়ে অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে সিইউজে নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, এই মুহূর্তে প্রয়োজন সকলের মানবিক ভূমিকা পালন করা।  এ অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেসব সাংবাদিক-কর্মচারী পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তাঁদের ন্যায্য পাওনা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য নেতৃবৃন্দ পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

ডিসি/এসআইকে/আইএস