বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক চট্টগ্রাম >>>
আগামিকাল শনিবার (২ এপ্রিল) থেকে রোজা রাখা শুরু করবেন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, পটিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা, বোয়ালখালীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের শতাধিক গ্রামের মানুষ। শাহ্ছুফী মমতাজিয়া দরবার শরীফ ও সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা রাখা শুরু করছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও রাঙামাটি, কক্সবাজার, নোয়াখালী, কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ঢাকা, গাজীপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার, খুলনা, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ফিরোজপুর, ঝালকাটি, ফরিদপুর, মাদারীপুরের অর্ধ শতাধিক গ্রামের মানুষেরাও শনিবার (২ এপ্রিল) থেকে রোজা পালন শুরু করবেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চাঁদ দেখা যাওয়ায় শনিবার থেকে রোজা পালনের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন চন্দনাইশ শাহ্ছুফী মমতাজিয়া দরবার শরীফের মতি মিয়া মনছুর।
জানা গেছে, প্রায় দুইশত বছর আগে সাতকানিয়া মির্জারখিল গ্রামে হযরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান জাহাগিরি (র.) হানাফী মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী পৃথিবীর যে কোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা ও ঈদসহ সকল ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়। তাঁরই উত্তরসুরী হযরত মাওলানা আবদুল হাই জাহাগীরির অন্যতম খলিফা চন্দনাইশ শাহ্ছুফি দরবারের পীর হযরত মাওলানা শাহ্ছুফি আমজাদ আলী (র.) মুরিদ ও অনুসারিরা একই নিয়মে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন।
সৌদি আরবসহ বিশ্বের অন্যান্য স্থানের সাথে সংগতি রেখে মাহে রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়াকে কেন্দ্র করে চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর শাহ্ছুফী মমতাজিয়া দরবার শরীফ ও সাতকানিয়া উপজেলার মির্জারখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা আজ ২ এপ্রিল থেকে পবিত্র রমজান মাসের রোজা পালন শুরু করেছেন। তার অংশ হিসেবে চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর, পশ্চিম এলাহাবাদ, উত্তর কাঞ্চননগর আব্বাস পাড়া, পূর্ব এলাহাবাদ, মাইজপাড়া, ছৈয়দাবাদ, হাশিমপুর খুনিয়া পাড়া, পৌরসভার দক্ষিণ হারলা, সাতবাড়ীয়া, বরমা, বাইনজুরী, কেশুয়া, কানাইমাদারী, দক্ষিণ হাশিমপুর বড়পাড়া, ধোপাছড়ি, পটিয়ার হাইদগাঁও, মংলারপাড়া, বাহুলী, কালারপুল, খরনা, সিয়ানপাড়া, বাথুয়া, রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা, লিচুবাগান, কুলুশিয়া, মদুনাঘাট, সাতকানিয়ার বাজালিয়া, ফকিরপাড়া, কেওচিয়া, মির্জারখীল শাহপুর, ঢেমশা, চরতী, বাঁশখালীর গুনাগুরী, মইশ্যাপাড়া, গুয়াজরপাড়া, কালীপুর, আনোয়ারার তৈলারদ্বীপ, বুরুমছড়া, লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া, সীতাকুণ্ডের রহমতপুর, বাঁশবাড়িয়া, বাড়বকুন্ডুতে শনিবার থেকে রোজা রাখতে শুরু করবেনস্ব স্ব গ্রামের অধিবাসীরা।
চট্টগ্রামের পশ্চিম এলাহাবাদ, উত্তর কাঞ্চন নগর, জুনিগোনা, আব্বাসপাড়া, মাঝের পাড়া, স্টেশন, দিঘির পাড়, কুন্দুপাড়া, কেশুয়া, মোহাম্মদপুর, হারালা, সাতবাড়িয়া, উত্তর হাশিমপুর, সৈয়দাবাদ, খুনিয়ারপাড়া, বাঁশখালীর জলদী, গুনাগড়ি, কালিপুর, গন্ডামারার মিরিঞ্জিরিতলা, ছনুয়া, সাধনপুর, আনোয়ারার তৈলার দ্বীপ, বাথুয়া, বারখাইন, বোয়ালখালীর চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, লোহাগড়ার বড়হাতিয়া, আমিরাবাদ, চুনতি, পুটিবিলা, উত্তর সুখছড়ি, আধুনগর, সাতকানিয়ার মির্জাখিল, বাংলাবাজার, মাইশামুড়া, খোয়াছপাড়া, বাজালিয়া, কাঞ্চনা, গাঠিয়াডাঙ্গা, পুরানগর, মালেয়াবাদ গ্রামসহ সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, মিরসরাই, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া, উখিয়া, বান্দরবান, আলীকদমের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ রোজা পালন শুরু করবেন শনিবার থেকে।
এছাড়াও নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, কুতুবপুর, ফেনী, ঢাকা জেলার নারায়ণগঞ্জে লামাপাড়া ফতুল্লা, বরিশার জেলার সাগরদী, টিয়াখালী, জিয়াসড়ক, বাবুগঞ্জে খানপুরা, মাধবপাশা, কেদারপুর, মাধবপাশা, মেহেন্দীগঞ্জের তালুকদার চর, পতাং, চরকেউটিয়া, সাহেবেরহাট, বাকেরগঞ্জের সুন্দরকাঠি দরবার শরীফ, গোমা, পেয়ারপুর হিজলায় শ্রীরামপুর দরবার শরীফ, ঘোশেরচর, মুলাদী, উত্তমনগর, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, পটুয়াখলীর বাউফলে ধাউরাভাঙ্গা, শাবুপুড়া, কয়েনা, শাপলাখলী, রাজনগর, দ্বিপাশা, মদনপুরা, চন্দ্রপাড়া, তাতেরকাঠি, রাঙ্গাবালীর পশুরীবুনিয়া, চরযমুনা, সেনের হাওলা, খালগোড়া বাজার, ফুলখালী, কোরালিয়া, বাহেরচর, গলাচিপা, ডাকুয়া, কলাপাড়া সদর, ইটবাড়িয়া, নিশানবাড়িয়া দরবার শরীফ, ধানখালী, পাঁচজুনিয়া, চালিতাবুনিয়া, লালুয়া, তেগাছিয়া, চান্দুখালী দরবার শরীফ এবং বরগুনা, শরিয়তপুর, মাদারিপুর, নরসিংদী, ভোলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কয়েক শতাধিক গ্রামের মানুষ শনিবার থেকে রোজা রাখবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ডিসি/এসআইকে/সিসি